দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলবেন পিটারসেন!
একটি সিরিজই যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনের। ২০১৩-১৪ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের পরই ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে আর মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি। দিনের পর দিন ব্যাটিংয়ে অসাধারণ পারফর্ম করে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেয়ার পরও তার দিকে মুখ তুলে তাকাচ্ছেন না ইংলিশ বোর্ডের হর্তাকর্তারা।
কিন্তু পিটারসেন বড্ড মিস করছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। সে লক্ষ্যেই নিজের জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলার ইচ্ছা পোষণ করলেন কেভিন পিটারসেন।
বর্তমানে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট দলের হয়ে আইপিএলে খেলছেন পিটারসেন। আইপিএল খেলতে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার ব্যপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে পিটারসেন বলেন, ‘এটা আমার মাথায় অনেক আগে থেকেই আছে। যদি এটা হওয়ার মত হয় তাহলে হবে, না হওয়ার মত হলে হবে না। অবশ্যই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক দিন ধরে খেলতে চাই।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহনের কয়েক বছর পরেই পরিবারের সাথে ইংল্যান্ড পাড়ি জমান কেভিন পিটারসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার ইচ্ছা থাকলেও সহসাই সেটা পূরণ হচ্ছেনা তার। কেননা নাগরিকত্ব বিষয়ে আইসিসির নিয়মের কারণে আরো দু’বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলতে পারবেন পিটারসেন। তখন পিটারসেনের বয়স হবে ৩৭।
ততদিনে নিজের ফর্ম কতটুক ধরে রাখতে পারবেন সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু পিটারসেন সবকিছু মেনে নিতে প্রস্তুত। সে লক্ষ্যেই নিজেকে ফিট রেখে খেলে যাচ্ছেন একের পর এক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ‘দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে আরো দেড় বছরের মত অপেক্ষা করতে হবে। সুতরাং আমরা অপেক্ষা করে দেখতে পা; কিন্তু এটা একটা অপশন হিসেবে আমার কাছে রইল।’
আইপিএলের এবারের আসরের নিজের প্রথম ম্যাচে ১৪ বলে ২১ রান করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে জয় এনে দেন পিটারসেন। বিভিন্ন লিগ খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে একটু বেশিই মিস করছেন এই ডান হাতি ব্যাটসম্যান। ‘আমি কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে মিস করছি? আমি কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিং মিস করছি? হ্যা, আমি কতটা মিস করছি সেটা শুধু আমি ই জানি।’
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের নতুন পরিচালক হিসেবে সাবেক দলপতি অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস নিয়োগ পেলেও তিনি সোজাসুজি বলে দিয়েছিলেন, পিটারসেনকে পুনরায় আর দলে ডাকা হবে না। এ জন্যেই জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট খেলার কথা ভাবছেন সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক।
আরআর/আইএইচএস/এবিএস