ঢাকায় এসে এত দ্রুত কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিলেন নিশাম!
ঢাকায় এসে পৌঁছালেন আগেরদিন। পরদিন মাঠে নেমেই ম্যাচ সেরা পারফরমার নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৬ বলে অপরাজিত ৫১, বল হাতে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। সবমিলিয়ে সেরা পারফরম্যান্স এবং জিতে নিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
জিমি নিশাম তো একদিন আগে ঢাকায় পৌঁছেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকান দুই ক্রিকেটার রিজা হেন্ডরিক্স এবং ইমরান তাহির আজ (শনিবার) সকালেই ঢাকা নেমেছেন। সকালে ঢাকায় পা রেখেই দুপুরে খেলতে নেমে গেলেন তারা এবং যথারীতি দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন তারা।
রংপুর রাইডার্সের ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৪১ বলে ৫৮ রান করেন প্রোটিয়া ব্যাটার রিজা হেন্ডরিক্স। ইমরান তাহির পূর্ণ ৪ ওভার বোলিং করলেন। ২৮ রান দিয়ে নিলেন ১ উইকেট। খেলার সময় মাঠে উপস্থিতিই যেন অন্যরকম পরিবেশ এনে দিয়েছিলো রংপুর রাইডার্সে। তার উইকেট উদযাপন ছিল চোখে পড়ার মত।
মোটকথা, বিদেশি ক্রিকেটাররা ঢাকায় এসে মাঠে নেমেই পারফর্ম করলেন। এত লম্বা বিমান ভ্রমণ করে এসে কিভাবে এত দ্রুত পারফর্ম করলেন? নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার জিমি নিশাম জানালেন সে রহস্য। জানালেন, পেশাদার হওয়া, পারফর্ম করা- সবই নিজের কাছে। একজন ব্যক্তির ওপরই সবকিছু নির্ভর করে। চাইলেই সব সম্ভব।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জিমি নিশাম বলেন, ‘আমি মনে করি এটা একেবারেই নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর, ক্রিকেটে অনেক বেশি বিমান ভ্রমণ যুক্ত হয়েছে। এখান থেকে সেখানে দ্রুত আসা-যাওয়া করতে হয়। ম্যাচ জিততে হয়, টুর্নামেন্ট জিততে হয়। সুতরাং, এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমার এর আগেও আছে। এর সঙ্গে অপরিচিত নই আমরা।’
‘এ ধরনের কন্ডিশনে পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলেই আপনি সাফল্য পেতে পারেন। তবে উইকেটে এসেই মেরে না খেলে প্রথম ৫ কিংবা ১০ বল একটু সময় নিয়ে খেলতে চেয়েছি। আমি আগেই বলেছি, আমাদের উপরের দিকের সেরা তিন কিংবা চারজন ব্যাটার বেশ ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন আমাদের। প্রথম ১০ ওভারেই দারুণ ধারাবাহিকতা পেয়ে যাওয়ায় পরের আমাদের কাজ সহজ হয়ে গেছে। এটাই হলো মূলত টিম ক্রিকেট।’
এত দ্রুত কীভাবে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিলেন? জিমি নিশাম স্বীকার করলেন, এটা কিছুটা কঠিন কাজ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যে কোনো জায়গাতেই দ্রুত মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিনই। আপনি প্রতিপক্ষের ব্যাটার এবং বোলারদের ভিডিও দেখতে পারেন এবং সত্যি বলতে, পেশাদার হওয়াটা পুরোপুরি নিজের কাছে। নিজেই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং জানতে হবে, সামনে কী আসছে।’
‘কোচ, সহকারী কোচ কিংবা কোচের বিষয় নয় যে, আমাকে বলবে তুমি এভাবে প্রস্তুতি নাও, ওভাবে খেলো। এটা পুরোপুরি নিজের ওপর নির্ভর করছে। কারণ, সব প্রযুক্তিই এখন আপনার হাতের মুঠোয়। যা দিয়ে যে কোনো দলকে আপনি পর্যালোচনা করতে পারেন। আরেকটা বিষয় হলো, দলের মধ্যে অনেকেই আপনার চেনা-জানা এবং কেউ কেউ হয়তো নয়। খেলাটা পুরোই নিজের কাছে এবং নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসের ফল। এটাই আজ কাজ করেছে আমাদের।’
বিপিএলের অভিজ্ঞতা আইপিএলে কতটা ভূমিকা রাখবে? জিমি নিশাম বলেন, ‘আমি মূলত গত সাত-আট বছর আইপিএলে খুব অনিয়মিত। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এর আগে একই ধরনের বেশ কিছু সফরের কারণে একই কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সব জায়গারই আলাদা আলাদা চরিত্র আছে। আপনি এসব কন্ডিশন ভালোভাবে বুঝতে পারলেই স্কোর করা সম্ভব হয়ে যায়।’
আইএইচএস/এমএমআর/জিকেএস