মশালের আগুন ট্র্যাকে, মাইকে উচ্চশব্দ, দুর্ব্যবহার
বিশৃঙ্খলায় অ্যাথলেটিকস ফিরলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে
প্রায় ৩৮ মাস পর অ্যাথলেটিকস ফিরলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। শুক্রবার দেশের প্রধান এ ভেন্যুর নতুন ট্র্যাকে শুরু হয়েছে ৪৭তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই দিনব্যাপী এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে বেশ সাজানো হয়েছে স্টেডিয়াম। তবে সেখানে দেখা যায়নি দেশের সাবেক তারকা অ্যাথলেটদের কোনো ছবি।
নানান অসঙ্গতি ও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অতিক্রম হয়েছে প্রথম দিন। বিকেল পৌনে ৪টায় পরপর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছেলে ও মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টা বিলম্বে হয়েছে এই ইভেন্ট। কারণ, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দীর্ঘ বক্তৃতাপর্ব।
চ্যাম্পিয়নশিপের মার্চপাস্টের পর মশাল দৌড়ে অংশ নেন সাবেক দুই তারকা অ্যাথলেট পোলভোল্টার শরিফুল ইসলাম ও সাবেক দ্রততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি। কিন্ত মশাল দৌড়ের মাঝপথে ঘটে দুর্ঘটনা।
মশালের হাতলে আগুন চলে আসলে দুর্ঘটনার শঙ্কায় তারা মশাল হাত থেকে ফেলে দেন। অল্পের জন্য ট্র্যাক রক্ষা পায়। কয়েজন বিচারক দ্রুত এসে পা দিয়ে আগুন ট্র্যাক থেকে সরিয়ে দেন।
জাতীয় অ্যাথলেটিকসে গণমাধ্যমের প্রধান আকর্ষণ থাকে ১০০ মিটার ঘিরে। ছিল এ আসরেও। ছেলে ও মেয়েদের ১০০ মিটার শেষ হওয়ার পর সেরা দুইজনের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য গণমাধ্যম অপেক্ষা করলেও কোনো সহযোগিতা করেনি অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
উচ্চশব্দে মাইক বাজার কারণে ইমরানুর রহমান ও শিরিন আক্তারের কোনো প্রতিক্রিয়াই ঠিকমতো শুনতে পাননি কেউ। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করার পরও বিন্দুমাত্র সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বরং গণমাধ্যমের সঙ্গে অচেনা কিছু ব্যক্তি দুর্ব্যবহারও করেছেন।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটিতে সাবেক অ্যাথলেট কম। টেকনিক্যাল মানুষ কম থাকায় সবকিছুতেই ছিল হযবরল অবস্থা। ইলেকট্রনিক টাইমারও ঠিকমতো কাজ করেনি। এক পাশে টাইমিং দেখা গেলেও অন্যপাশে ছিল অন্ধকার।
সব অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্ব পালনে ফেডারেশনের সহযোগিতা না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেছেন, আগামীতে এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। পাশে থাকা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টুকে সভাপতি বলেন, ‘ওনারা (সাংবাদিকরা) তো এখানে কাজ করতে এসেছেন। তাদের সহযোগিতা করা উচিত ছিল। এসব দায়িত্ব পালন করা মানুষকে ট্রেনিং দেওয়া উচিত।’
আরআই/এমএমআর/এএসএম