তেঁতুলিয়ায় আড্ডা আর ছুটাছুটিতে ব্যস্ত মুস্তাফিজ


প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৬

বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিস্ময়কর আবিষ্কার মুস্তাফিজুর রহমান। জাতীয় দলে প্রবেশ করেই চোখ ধাঁধানো খেলা উপহার দিয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে। খুব অল্প বয়স আর স্বল্প সময়ের মধ্যেই ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম লিখে ফেলেছেন বিস্ময়কর এই পেস তারকা।

খুব বেশী লেখাপড়া না জানলেও এই মুস্তাফিজ আজ ইতিহাসের পাতায়। যাকে নিয়ে ভাবছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। অল্প দিনেই ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই ক্রিকেট তারকা এখনও রয়েছেন সেই আগের মতই। ক্রিকেট দিয়ে বিশ্ব জয়ের পাশাপাশি জয় করতে ভুলে যাননি নিজ গ্রামের ভক্তকুল এবং বন্ধুদের হৃদয়।

Mostafiz

বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পর ছুটি পেয়ে এসেছেন সাতক্ষীরা শহরের অদূরে কালিগজ্ঞ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। ছুটি কাঁটাতে এসে ঘুরছেন নিজ এলাকায় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, পরিচিত জনদের বাড়ীতে। এলাকায় তার প্রিয়জনরা ছোট-খাটো বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধধিত করছেন মুস্তাফিজকে। এলাকার প্রিয় মানুষদের এমন অফুরন্ত ভালোবাসা পেয়ে খুশি মুস্তাফিজ নিজেও। খুবই সাধারণ জীবন-যাপনকারী, সাদা-মাটা মুস্তাফিজকে নিয়ে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ যেন আনন্দে মাতোয়ারা।

আপনজনদের সাথে ব্যস্ততার মধ্যে সুযোগ পেলেই মেতে উঠছেন শিশুদের সাথে নিয়ে ব্যাট এবং বল নিয়ে। নেমে যাচ্ছেন গ্রামের মাঠে খেলা করতে। ধুমকেত মত ক্রিকেটাকাশে উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের একের পর এক খেলার মাঠে নাস্তানাবুদ করা  এই ক্রিকেট তারকাকে দেখলে মনেই হবে না যে, এই সেই মুস্তাফিজ! যাকে নিয়ে এখন তোলপাড় এখন পুরো ক্রিকেটবিশ্ব! যার বল মোকাবেলা করার আগের রাতে ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে গেইল, স্মিথ, উইলিয়ামসন কিংবা রোহিত শর্মাদের!

ছুটি কাটাতে গ্রামে আসলেও আদতে তার ব্যস্ততা একটুও কমেনি। বরং বেড়েছে। সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন আড্ডায় মেতে থাকছেন বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রিয় মটরসাইকেলে চড়ে। একই সঙ্গে কিছুটা সামাজিক দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।

Mostafiz

কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পরিদর্শণে গিয়েছেন আশাশুনির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা তো নিজেদের মাঝে মুস্তাফিজকে পেয়ে আত্মহারা। স্বপ্নের নায়ককে এতটা কাছে পাবে, তারা কী কখনও ভেবেছিল! স্কুলটি পরিদর্শনের সময় ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তাও করেছেন তিনি। আবার মিষ্টিমুখ করিয়েছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদেরও।

অনেকদিন পর মুস্তাফিজকে কাছে পেয়ে খুবই খুশি তার আত্মীয়-স্বজন সবাই। তার নিকটাত্মীয় তারালি আলিম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেকদিন পর মুস্তাফিজকে কাছে পেয়ে আমরাসহ এলাকার সবাই খুব খুশি। বিশেষ করে তার বন্ধু ও ছোট শিশুরা।’ ছুটি শেষে আগামী ৩ এপ্রিল (রোববার) ঢাকায় ফিরে যাবেন মুস্তাফিজ।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।