বিশ্বকাপের সেরা দশে তামিম-মুস্তাফিজ


প্রকাশিত: ০৪:০৯ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৬

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশে দলের প্রাপ্তির খাতা যখন শূন্য, তখন ব্যাট হাতে ঠিকই রান করে গেছেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল আর বল হাতে একের পর এক চমক দেখিয়ে তিন ম্যাচেই নয় উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিসির সেরা ১০টি পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই দুই ক্রিকেটার।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন তামিম। ৬৩ বলে খেলা তার দুর্দান্ত ইনিংসটি ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের দশ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অধ্যায়ে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। তামিমের অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসটি আছে আইসিসির সেরা দশে।

ইনজুরির কারণে বাছাই পর্বে খেলতে না পারলেও মূল পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই নিজের জাত চেনান মুস্তাফিজ। তবে মুস্তাফিজের সেরাটা দেখা যায় নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সুপার টেনে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হতাশার বিপরীতে একাই উজ্জ্বল ছিলেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ। বল হাতে চার ওভারে ২২ রানের বিনিমেয় ‍কিউইদের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান ২০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি পেসার।

আইসিসির সেরা ১০টি পারফরম্যান্সের মধ্যে ইংল্যান্ড ম্যাচে ক্রিস গেইলের ‘ঝড়ো’ সেঞ্চুরি, দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৯ রানের জবাবে জো রুটের ৮৩, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদের ৪৪, ইংলিশদের বিপক্ষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের অপরাজিত ৭৩, বাংলাদেশ ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির ৪৯, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে বিরাট কোহলির ম্যাচ জেতানো ৮২ রানের (অপ.) ইনিংসটি রয়েছে।

সেরা দশে মুস্তাফিজ ছাড়া বাকি যে দুজন বোলার জায়গা পেয়েছেন তারা হলেন নেদারল্যান্ডসের পল ফন মিকেরন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে  বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই বোলার। আর একমাত্র স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ৪৭ রানে জয়ের নায়ক মিচেল স্যান্টনার (৪/১১)।

এমআর/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।