৬ষ্ঠবারেও আক্ষেপ ঘুচলো না মুস্তাফিজের


প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ২৬ মার্চ ২০১৬

অধরা হ্যাটট্রিকটা কী তবে আর ধরাই দেবে না মুস্তাফিজের হাতে! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর একে একে যে বিস্ময় উপহার দিচ্ছেন মুস্তাফিজ, তাতে অভিভূত পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু একটা আক্ষেপ যে কোনভাবেই ঘোচাতে পারছেন না বাংলাদেশের এই তরুণ পেস সেনসেশন! এ নিয়ে ৬ষ্ঠবারেরমত হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরী করলেন তিনি। কিন্তু পেলেন না অধরা হ্যাটট্রিকটির দেখা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ শুরু থেকেই মুস্তাফিজ যেন এক দুর্বোধ্য নাম। তার প্রথম ওভারে হেনরি নিকোল বোল্ড হলেন। দ্বিতীয় ওভারে বোল্ড হলেন কেন উইলিয়ামসন। তৃতীয় ওভারে ক্যাচ তুলে আউট হলেন গ্র্যান্ট ইলিয়ট। এতটুকু পর্যন্ত ঠিকই ছিল। নিজের চতুর্থ এবং দলের শেষ ওভার বল করতে এলেন মুস্তাফিজ।

ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে পর পর মিচেল সান্তনার এবং নাথান ম্যাককুলামকে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠালেন মুস্তাফিজ। পরপর দুই বলে দুই উইকেট। এবার মুস্তাফিজের ১ বছরেরও কম সময়ের ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠবারেরমত তৈরী হলো হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। কিন্তু এবারও হলো না। মিচেল ম্যাকক্লেনগান হাঁটু গেঁড়ে সোজা মুস্তাফিজকে পাঠিয়ে দিলেন সীমানার বাইরে, ছক্কা।

হ্যাটিট্রকের এ রকম সম্ভাবনার সামনে এর আগেও পাঁচবার দাঁড়িয়েছিলেন মুস্তাফিজুর; কিন্তু একবারও হলো না হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে এর মধ্যেই অনেক কিছু পেয়ে গেছেন। হ্যাটট্রিকটা কি পাওয়া হবে না তার?

এর আগে ৫ম বারেরমত এশিয়া কাপেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে তৈরী করেছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। ওই ম্যাচের অষ্টম ওভারে প্রথম বলেই আমিরাতের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদকে ফেরান তিনি। দ্বিতীয় বলে ফেরালেন স্বপ্নিল পাতিলকে। পরপর দুই বলে দুই উইকেট; কিন্তু তৃতীয় বলে আর পারলেন না উইকেটটা নিতে। আমজাদ জাভেদ ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজকে।

এর আগে সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজ এল্টন চিগুম্বুরাকে বোল্ড করার পর উড়িয়ে দেন লুক জঙ্গেইয়ের মিডল স্ট্যাম্প। কিন্তু চতুর্থবারেরমত হ্যাটট্রিকটা হলো না তার। শন উইলিয়ামসকে তৃতীয় বলে বড় নিরীহ একটা ডেলিভারি দিলেন মুস্তাফিজ। সেটাতে উইকেট পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই জাগলো না।

মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিকের সুযোগ এসেছিল অভিষেক ওয়ানডেতেই। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে সুরেশ রায়না ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা; কিন্তু পরের বলে ভুবেনেশ্বর কুমার তা হতে দেননি।

দ্বিতীয় ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও অক্ষর প্যাটেলকে পরপর দুই বলে শিকার করে আবার হ্যাটট্রিক ছোঁয়ার খুব কাছে চলে আসেন তিনি; কিন্তু এবারও হয়নি। এবার অশ্বিন এসে হতাশ করেন তাকে।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে একওভার তিন উইকেট নেন তিনি। ওই ওভারের পরপর দুই বলে শিকার করেন হাশিম আমলা ও জেপি ডুমিনিকে। পরের বলে কুইন্টন ডি কক হতাশ করেন মুস্তাফিজকে। ওয়ানডে এবং টেস্টের পর দু’বার টি-টোয়েন্টিতে সম্ভাবনা জাগিয়েও পেলেন না বহু কাংখিত হ্যাটট্রিকটির দেখা।

অনেক বোলারের পুরো ক্যারিয়ারেই এমন সুযোগ হয়তো দুই একবার এসেছে। মুস্তাফিজের ৬বার সুযোগ এলো মাত্র ১১ মাসে; কিন্তু একবারও সত্যি সত্যি ধরা গেলো না হ্যাটট্রিক নামের রহস্যকে। মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে এটাই বোধহয় একমাত্র আক্ষেপ!

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।