‘প্রস্তুতি ভালো, পদকের লক্ষ্যেই এসেছি’
২০১০ সালে চীনের গুয়াংজু এশিয়ান গেমস থেকে নারী কাবাডি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর প্রথম দুই আসরেই বাংলাদেশ ফিরেছিল ব্রোঞ্জ পদক নিয়ে। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ গেমসে ছেলেদের মতো মেয়েরাও ফিরেছিলেন শূন্যহাতে।
সেই চীনে আবার এশিয়ান গেমস। হাংজুতে এবার বাংলাদেশের লক্ষ্য ও প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন নারী কাবাডি দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড় স্মৃতি আক্তার।
জাগো নিউজ: দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষ। রাত পোহালেই এশিয়ান গেমস কাবাডিতে পদকের উদ্ধারের মিশন শুরু হবে। আপনাদের এবারের প্রস্তুতি কেমন?
স্মৃতি আক্তার: আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো প্রস্তুতি আছে আমাদের। এশিয়ান গেমস সামনে রেখে আমরা দেড় মাস ভারতে অনুশীলন করেছি।
জাগো নিউজ: ভারতের অনুশীলনের পাশাপাশি কিছু প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছেন আপনারা। সেই প্রতিপক্ষগুলো কেমন ছিল এবং ফলাফল কী হয়েছিল?
স্মৃতি আক্তার: ভারতে আমরা ১০ টা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। আমরা ৯ ম্যাচ জিতেছি, হেরেছি একটিতে। প্রতিপক্ষ দলগুলোও ভালো ছিল। মুম্বাই, পুনেসহ স্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে আমরা খেলেছিলাম।
জাগো নিউজ: দেশের মানুষ কাবাডির দিকে তাকিয়ে থাকে। পরপর দুটি গেমসে পদক জয়ের পর সর্বশেষ আসরে ব্যর্থ নারী দল। এবার পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু আশাবাদী?
স্মৃতি আক্তার: আগেই বলেছি, আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি, তা ভালো হয়েছে। এক কথায় প্রস্তুতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আর পদকের লক্ষ্যই নিয়েই চীনে এসেছি।
জাগো নিউজ: গ্রুপিং হয়ে গেছে। তিন দলের গ্রুপে প্রতিপক্ষ ইরান ও নেপাল। গ্রুপ কেমন হলো? পদক জিতলে হলে কী করতে হবে?
স্মৃতি আক্তার: ইরান শক্তিশালী দল। নেপালও ভালো। গত এসএ গেমসে আমরা নেপালের কাছে হেরেছিলাম। এখন আমাদের পদকের সম্ভাবনা তৈরি করতে হলে নেপালকে হারাতেই হবে। আমরা যদি নেপালকে হারাই এবং নেপাল ইরানের কাছেও হারে তাহলে সেমিফাইনালে উঠবো এবং তখন একটি পদক নিশ্চিত হবে।
জাগো নিউজ: আপনি কতদিন ধরে জাতীয় দলে খেলেন। আপনার পজিশন কি?
স্মৃতি আক্তার: ২০১৬ সালে এসএ গেমস দিয়ে আমার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে। ২০১৮ এশিয়ান গেমসে খেলেছি। তবে ইনজুরির কারণে ২০১৯ সালের এসএ গেমস খেলতে পারিনি। আমি লেফট কর্নারে খেলি।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
স্মৃতি আক্তার: আপনাকেও ধন্যবাদ।
এমএমআর/জিকেএস