হ্যালো প্লেয়ার
‘নিজের সেরাটা খেলতে পারলে পদকের সম্ভাবনাও আছে’
চীনের হাংজুতে চলতি এশিয়ান গেমস ছোট হয়ে আসছে বাংলাদেশের জন্য। এরই মধ্যে গেমস শেষ করেছে পুরুষ ফুটবল দল। রৌপ্য হারিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়ে গেমস শেষ নারী ক্রিকেট দলেরও।
১৭ ডিসিপ্লিনের মধ্যে কয়েকটির ক্রীড়াবিদরা দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কয়েকটি ফেডারেশনের ক্রীড়াবিদরা। সোমবার চীনে পৌঁছানোর কথা গলফের খেলোয়াড়দের। ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই ডিসিপ্লিনের খেলা।
এবার গলফে অংশ নেবেন দুইজন খেলোয়াড়। একজন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান, অন্যজন জামাল হোসেন। দুইজনই অংশ নেবেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে। এবার দলীয় ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নিজের সম্ভাবনা ও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন দুটি এশিয়ান ট্যুর চ্যাম্পিয়ন হওয়া গলফার সিদ্দিকুর রহমান।
জাগো নিউজ: দ্বিতীয়বার এশিয়ান গেমসে অংশ নেবেন। কেমন প্রস্তুতি আপনার?
সিদ্দিকুর রহমান: আলহামদুলিল্লাহ প্রস্তুতি ভালো। এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে চীনে আসার আগের দিন শেষ হলো তাইওয়ানের একটি টুর্নামেন্ট। সেখানে অংশ নিয়ে প্রস্তুতি শেষ করলাম এশিয়ান গেমসের।
জাগো নিউজ: আপনি এর আগে ২০০৬ সালে দোহা এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। তখন কেমন রেজাল্ট ছিল?
সিদ্দিকুর রহমান: মোটামুটি রেজাল্ট ছিল আমার। সেরা সেরা দশের মধ্যে ছিলাম।
জাগো নিউজ: দ্বিতীয়বার অংশ নেওয়ার আগে কী ভাবছেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এবার পেশাদার গলফারদের এশিয়ান গেমসে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাই এশিয়ার প্রফেশনাল সেরা সেরা গলফাররা খেলবেন। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
জাগো নিউজ: পদক জয়ের কোনো প্রত্যাশা করেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এখানে যে গলফাররা অংশ নেবেন অনেকটাই সমমানের। তাই আমি বলবো যার ফর্ম ভালো থাকবে এবং দিনটি ভালো যাবে তার জন্যই সম্ভাবনা। আমি যদি নিজের সেরাটা খেলতে পারি তাহলে পদক জয়ের সম্ভাবনাতো আছেই।
জাগো নিউজ: এবার তো কেবল ব্যক্তিগত ইভেন্ট। দলীয় থাকলে ভালো হতো কি?
সিদ্দিকুর রহমান: দলীয় ইভেন্টে অংশ নিলে আরো ভালো হতো। সম্ভাবনা আরো বেশি থাকতো।
জাগো নিউজ: অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকেন। এশিয়ান গেমসে খেলা কেমন উপভোগ করবেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এটা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এখানে দ্বিতীয়বার অংশ নিচ্ছি। এটা অবশ্যই আমার জন্য একটা অর্জন।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
সিদ্দিকুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/এমএমআর/এএসএম