বাংলাদেশকে ১৪৭ রানের লক্ষ্য দিল ভারত


প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৬

বোলারদের অসাধারন বোলিং আর ফিল্ডারদের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের কারণে ব্যাঙ্গালুরুর রান প্রসবা উইকেটে স্বাগতিক ভারতকেই ৭ উইকেটে ১৪৬ রানে আটকে রাখতে পারলো বাংলাদেশ। ১৫ ওভারে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১১২। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের রান হওয়ার কথা ১৭০ কিংবা ১৮০। কিন্তু দুর্দান্ত কামব্যাক বাংলাদেশ বোলারদের। ব্যাটিং সমৃদ্ধ দল ভারতকেই মুস্তাফিজ-সাকিব-মাশরাফিরা বেধে রাখলো ১৫০-এরও কম রানের মধ্যে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একটু সতর্কভাবেই শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আসার পর কেন যেন হঠাৎ করে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান। তবে, শেষ রক্ষা আর করতে পারলেন না রোহিম শর্মা। ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন রোহিত। মিডউইকেটে ক্যাচটি লুফে নেন সাব্বির রহমান। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের কোণঠাসা অবস্থায় পড়ার শুরু তখনই।

সুরেষ রায়না আর বিরাট কোহলি কিন্তু ভারতকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। দু’জনের ৫০ রানের জুটির ওপর ভর করে ভারতও বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু শুভাগত হোমের বলে কোহলি বোল্ড হয়ে যাওয়ার পরই দুর্দশা শুরু ভারতের। যার সমাপ্তি ঘটলো ১৪৬ রানে গিয়ে।

এর মধ্যেই বিস্ময় সৃষ্টি করলেন সৌম্য সরকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একের পর এক অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরে যেন বিস্ময় সৃষ্টি করাই তার কাজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে মোহাম্মদ হাফিজের অসাধারণ ক্যা্চ ধরার পর ভারতের ব্যাটসম্যান হার্দিক পাণ্ডেরও অসাধারণ ক্যাচ ধরলেন তিনি। রীতিমত বিস্ময়কর। পরপর দুই বলে রায়না এবং হার্দিক পাণ্ডেকে ফিরিয়ে দিয়ে অসাধারণভাবে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন আল আমিন হোসেন। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরী করেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্য যুবরাজকে হ্যাটট্রিক বলটি ঠিকভাবে দিতে পারলেন না তিনি।

তার আগে কোহলি আউট হওয়ার পর মাঠে নেমেই যেন ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাণ্ডে। ৭ বলেই ২টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় ১৫ রান করেছিলেন পাণ্ডে। কিন্তু তাকে অসাধারণ ক্যাচে ফিরিয়ে দিলেন আল আমিন আর সৌম্য সরকার। হার্দিক পাণ্ডের পর আউট হলেন যুবরাজ সিংও। মাহমুদুল্লাহর বলে আল আমিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন যুবরাজ সিং।

আগের বলেই ফিরিয়েছিলেন সুরেষ রায়নাকে। বিরাট কোহলির মত বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন সুরেশ রায়না। ২৩ বলে ৩০ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু আল আমিনের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রায়না।

এর আগে ফিরেছিলেন বিরাট কোহলিও। ২৪ বলে করলেন মাত্র ২৪ রান। মাশরাফি এবং সাকিবরা যখন উইকেট পাচ্ছিলেন না, তখন শুভাগতকেই বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাশরাফি। ১৪তম ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি। এরপর একটি সিঙ্গেল। পরের বলেও খেলেন ছক্কা। এরপরের বলেই অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন বিরাট কোহলিকে।

৭ম ওভারেই আউট হয়ে গেলেন শিখর ধাওয়ান। ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানের বলে শট খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হন। জোরালো আবেদন উঠতেই আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার অক্সেনফোর্ড।

প্রথম ওভারেই বল করতে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতীয় ওভার তুলে দিয়েছিলেন শুভাগত হোমের হাতে। এরপর আনা হয় আল আমিনকে। চার নম্বরে আসেন মু্স্তাফিজ।

শেষ পর্যন্ত আল আমিন এবং মুস্তাফিজুর রহমান নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম, সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

আরও পড়ুন