‘কাবাডি কোর্টে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছি’

রফিকুল ইসলাম
রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৩

২০২১ সালের ৩ নভেম্বর পুলিশ কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বা পায়ের গোড়ালি ভেঙেছিল মাসুদ করিমের। পরের দিন অপারেশন হয়েছিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে। ওই সময় তার পায়ে বসানো হয়েছিল একটি প্লেট।

দীর্ঘ ২১ মাস পর গত মঙ্গলবার সে প্লেট খোলা হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা এই রেইডারের পা থেকে। এখন তিনি উদগ্রীব হয়ে আছেন কাবাডি কোর্টে ফিরতে।

প্লেট খুলে ফেলার পরদিনই হাসপাতাল ছেড়ে ময়মনসিংহের বাড়িতে চলে গেছেন। সেখান থেকে ইনজুরিতে পড়া, চিকিৎসা করা ও আবার খেলায় ফিরে আসার প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের এ খেলোয়াড়।

জাগো নিউজ: কেমন আছেন? সফলভাবে আপনার পা থেকে প্লেট খুলে ফেলা হয়েছে। এখন কবে নাগাদ কোর্টে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন?
মাসুদ করিম: ২০২১ সালে ৪ নভেম্বর আমার পায়ের অপারেশন হয়েছিল। তখনই এই প্লেট বসানো হয়েছিল। ২১ মাস পর খোলা হলো। আমার মনে মাস দুই-তিন লাগতে পারে পুরোপুরি সেরে উঠতে। কারণ, ৭টি স্ক্রু দিয়ে প্লেট বসানো হয়েছি। ওই স্ক্রু’র জায়গাগুলো এখন ভরাট হতে যত সময় লাগে। আমি দ্রুতই কোর্টে ফিরতে চাই।

জাগো নিউজ: অনেক দিন খেলার বাইরে। কোন টুর্নামেন্ট সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করবেন?
মাসুদ করিম: আগামী মার্চে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ হওয়ার কথা। আশা করি, তখন আবার কাবাডি কোর্টে ফিরতে পারবো। মানসিকভাবে সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছি।

জাগো নিউজ: দীর্ঘদিন চিকিৎসার মধ্যে। অনেক টাকা তো লেগেছে। কাবাডি থেকে কোনো সহযোগিতা পেয়েছেন?
মাসুদ করিম: আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হক স্যারের প্রতি। আমার চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। সব তারা ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি চিকিৎসার ফলোআপ করতে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়ার খরচও তারা দিয়েছেন।

জাগো নিউজ: ইনজুরিতে পড়ার কারণে আপনি জাতীয় দলের কয়টি টুর্নামেন্ট মিস করেছেন?
মাসুদ করিম: দুটি বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্ট খেলতে পারিনি। আগামী মাসে চীনে হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসও তো মিস করবো।

জাগো নিউজ: পা ভেঙে যাওয়ায় আপনি ভারতের প্রো-কাবডিতে ডাক পেয়েও তো যেতে পারেননি।
মাসুদ করিম: হ্যাঁ। যেদিন পা ভাঙলো, তার ১৭-১৮ দিন পর ভারতে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। উত্তর প্রদেশ (ইউপি) যোদ্ধা আমাকে ১০ লাখ রুপি দিয়ে নিয়েছিল। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আমি ওই দলের হয়েই খেলেছিলাম।

জাগো নিউজ: কখনো কি মনে হয় কাবাডি না খেলে অন্য কোনো খেলা বেছে নিলে ভালো করতেন?
মাসুদ করিম: সেটা মনে হয় না। কারণ, আমি কাবাডি খেলেই এ পর্যন্ত এসেছি। সবাই আমাকে কাবাডির মাসুদ করিম বলেই চিনেন ও সম্মান করেন। কাবাডি খেলোয়াড় হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।

জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।
মাসুদ করিম: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।