‘আফ্রিদির সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছি’


প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৬

সম্পর্কের কথা আগেও একবার দাবি করেছিলেন। এবার পাকিস্তানি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদির সন্তানের মা হতে চলেছেন বলে ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দিলেন ভারতীয় মডেল আরশি খান। ‘ভূপালের জামাই আফ্রিদি। আর মাত্র ছয় মাস। তারপরই আমি আফ্রিদির সন্তানের জন্ম দিতে চলেছি’-এমনটাই দাবি এই ইন্দো-ভারতীয় সুন্দরীর। তার এমন দাবির ফলে মাঠের পাশাপাশি টি-২০ বিশ্বকাপের ঝড় উঠেছে আফ্রিদির ব্যক্তিগত জীবনেও।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশি খান জানিয়েছেন, তিনি তিন মাসের গর্ভবতী। একই সঙ্গে আরশি জানিয়েছে, গর্ভজাত ওই সন্তানের বাবা হচ্ছেন স্বয়ং আফ্রিদি। সাক্ষাৎকারে ভারতীয় এই মডেল এটাও কবুল করেছেন যে, বেশ কিছুদিন আগেই তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, কাজের জন্য আমরা একসঙ্গে থাকতে পারিনা ঠিকই। কিন্তু একে অপরের প্রতি ভালবাসা রয়েছে ষোলআনা। প্রমাণ আমার গর্ভে আফ্রিদির বাচ্চা।

সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে এসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। রয়েছে কলকাতায়। এখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে পাকিস্তান। জিতেছে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে। পরবর্তী ম্যাচে তারা মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ভারতের। কলকাতায় আসার পর ভারতীয় মিডিয়াকে আফ্রিদি বলেন, ভারতের মত ভালোবাসা তিনি নিজ দেশেও পাননি। আরশির দাবি, আফ্রিদি এই কথা বলে আসলে তার দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। এখানে উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে টুইটারে শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কের দাবি করেছিলেন আরশি খান।

কয়েকদিন আগেই, পাকিস্তান যখন ভারত আসবে আসবে করছিল, তখন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আফ্রিদিকে, ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিলেন আরশি। সে সঙ্গে পাকিস্তানি প্রেমিকের প্রতি তার বার্তা ছিল, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোমার সঙ্গ পেতে পাকিস্তান যাচ্ছি।’ শুধু তাই নয়, আরশিকে ওই ভিডিওতে হিন্দি গানের মত গাইতে শোনা গিয়েছে, ‘আরশি বদনাম হুই, আফ্রিদি তেরে লিয়ে...।’

আরশি খানের জন্ম আফগানিস্তানে। বছর চারেক আগে ভারতের ভুপালে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে কাজের কারণে তিনি এখন মুম্বাইর বাসিন্দা।    
   
সূত্র : বলিউড মন্ত্র

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।