সেই তামিমই আজ ‘নায়ক’


প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা কাকে নিয়ে হয়েছে? ক্রিকেটের যিনি সামান্য খবর রাখেন তিনি একবাক্যে স্বীকার করবেন নামটি তামিম ইকবাল খান। কত রকমের ট্রল করা হয়েছে তাকে নিয়ে। কী হয়নি তাকে নিয়ে? অথচ আজ সেই তামিমই বাংলাদেশের নায়ক। সেই তামিমই বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের সবচেয়ে প্রিয় নাম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে রোববার ধর্মশালায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকালেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা তামিম।

‘উইকেটে গিয়েছেন তামিম। ম্যাগি নুডুলস রান্না করতে দাও। রান্না শেষ তামিম সাজঘরে।’ অথবা ‘আমি কী করে শূন্য মারি, জানো?’ বছর দুই পেছনে যদি ক্রিকেট ভক্তদের ফেসবুক প্রোফাইলে যান। অনেকের প্রোফাইলেই খুঁজে পাবেন ডানো দুধ বা ম্যাগি নুডুলসের বিজ্ঞাপনের অনুসারে এ প্যারোডিগুলো। অথবা পাবেন ‘তামিম খেলা পারে না, চাচার জোরে খেলে।’

তামিম বুঝিয়ে দিয়েছেন সে চাচার জোরে দলে ছিলেন না। তার মাঝে প্রতিভা ছিল বলেই নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন খারাপ সময় আসতেই পারে। তখন কটাক্ষ নয় প্রয়োজন সমর্থন। ভক্তদের কাছ থেকে সে সমর্থন না পেলেও পেয়েছিলেন নির্বাচক, কোচ আর অধিনায়কের কাছ থেকে। আর তার প্রতিদান দু’হাত ভরে দিচ্ছেন তামিম। সে ধারায় এদিন বাংলাদেশের ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন এমনভাবে, যার আগুনে ঝলসে দিয়েছেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসা মধ্যপাচ্যের দল ওমানকে। আর তাতেই মূল পর্বের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন লাখো বাংলাদেশি।

তবে সেঞ্চুরির দেখা আরও আগেই পেতে পারতেন তিনি। কদিন আগেই এই ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। যোগ্য সঙ্গী না পাওয়ায় সেদিন সেঞ্চুরি করতে পারেননি। একাই দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস মেরামত করেছেন। হতে পারতো ২০১২ সালে ঘরের মাঠ মিরপুরেই। সেবার মিরপুরে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরুর পর শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে না পারায় বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে। ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

আরটি/আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।