স্কাই স্পোর্টসের ভবিষ্যদ্বাণী : বিশ্বকাপ জিতবে বাংলাদেশ
ঘরে মাটিতে এশিয়া কাপের ফাইনেল ভারতের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত ছিল মাশরাফিরা। এশিয়া কাপ শেষে এবার টাইগারদের চোখ ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপে অসাধারণ নৈপুণ্যের পর এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জেতারও সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। আর এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টস।
সোমবার বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি যুক্তি দেখিয়ে স্কাই স্পোর্টসের ডেভিড কুরির ‘বাংলাদেশ কেন টুর্নামেন্ট জিততে পারে’ শীর্ষক এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনটি অনুবাদ করে জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:
তরুণ খেলোয়াড়:
ঘরের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে বাংলাদেশ। তরুণ ক্রিকেটাররা ভালো সমর্থন দিচ্ছে সিনিয়র দলকে। উদাহরণ হিসেবে ২০ বছর বয়সী দুই সিমার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ তুলে ধরা যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন তাসকিন। ছয় ম্যাচে নয় উইকেট নিয়েছিলেন। এছাড়া ৫৯ রানে দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আর মুস্তাফিজ তো অভিষেকের পর থেকে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকই ওয়ানডে ও টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। জায়গা করে নেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে। এরই মধ্যে নাম লেখিয়েছেন আইপিএল ও ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে।
আর ছোট দল নয় :
গত বছর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল প্রথমবারের মতো। এরপর তারা টানা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওয়ানডের সাফল্য ধরে রেখেছে টি-টোয়েন্টিতেও। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে। তাই বাংলাদেশকে আর ছোট দল বলার সুযোগ নেই।
এশিয়া কাপ :
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে জায়গা করে নেন এশিয়া কাপের ফাইনালে। আর এশিয়া কাপে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবারই প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আল আমিন (১২.১৮ গড়ে ১১ উইকেট) ও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাব্বির (৪৪ গড়ে ১৭৬) বাংলাদেশের।
উপমহাদেশীয় কন্ডিশন :
আসলে বাংলাদেশের ১৮ টি-টোয়েন্টি জয়ের ১১টি এসেছে উপমহাদেশের কন্ডিশনে। বাকি সাতটি জিতেছে আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া ও নেদারল্যান্ডস সফর এবং ২০০৭ দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সেরা সুযোগটা উপমহাদেশীয় কন্ডিশনেই।
সাকিব আল হাসান :
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত সাকিব। বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের অনেকটা নির্ভর করবে সাকিবের ওপর। এ পর্যন্ত পাঁচটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৮ ম্যাচ খেলা সাকিবের গড় মাত্র ২৪.৩৩, ফিফটি দুটি। ২১ গড় ও ৬.৪৫ ইকোনোমিতে শিকার ২০ উইকেট। আর ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর অল রাউন্ডার হওয়ার একমাত্র কীর্তি তার। এখন অবশ্য টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে যথাক্রমে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শেন ওয়াটসনের কারণে দ্বিতীয় স্থানে সাকিব।
এমআর/পিআর