মাশরাফি-মুশফিকদের প্রয়োজন ১৪০০ টিকিট


প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৬

প্রথমবারের মত এবার এশিয়া কাপ আয়োজিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর প্রথমবারই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ফাইনালের জন্য টিকেটের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার। মিরপুরের মাঠে ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার দর্শকের কিন্তু চাহিদা যেন তার থেকে কয়েক শো গুন বেশি। সব জায়গায় শুধু টিকেট চাই!

অবাক হলেও সত্যি টিকিটের জন্য হাহাকার করতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও। সাধারণত দেশের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা টুর্ণামেন্ট হলে প্রতি ম্যাচেই চার-পাঁচটি করে সৌজন্য টিকিট পেয়ে থাকেন খেলোয়াড়েরা। এর বাইরেও প্রয়োজনে বিসিবির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে টিকিট কিনে নিতে পারেন তারা।

দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের টিকিটের চাহিদা বা প্রয়োজন বিসিবির কাছে যায়। কিন্তু তিনিও এবার কোনো আশা দিতে পারছেন না। টিকেটের চাহিদায় তিনি বলেন, আগের সব ম্যাচেই খেলোয়াড়দের চাহিদা অনুযায়ী টিকিট দিতে পেরেছি। কিন্তু ফাইনালের জন্য ওরা মোট ১ হাজার ৪০০ টিকিট চেয়েছে। এত টিকিট আমি কোথায় পাব?’

সাধারণত মুশফিকুর রহিম সৌজন্য টিকিট বাদে প্রতি ম্যাচেই ২৫-৩০টি টিকিট আলাদা করে বিসিবে থেকে কিনে থাকেন। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সবারই টিকেট যেমন চাই, পাশাপাশি প্রয়োজনটা একটু বেশিই।যেমন ফাইনালের জন্য মুশফিকুর রহিমের আরও বেশি টিকিটের চাহিদায় এখন টিকেট না পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় এই ব্যাটসম্যান, ‘ফাইনালে আমার অন্তত ৫০-৬০টি টিকিট দরকার। সে রকমই চেয়েছি। কিন্তু যে অবস্থা, পাব বলে মনে হয় না!’

অন্যদিক মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল থেকে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন না এলে বাড়তি টিকিট কিনেন না। কিন্তু তার দল খেলছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। তাই এবার আত্মীয় স্বজনের টিকেটের চাহিদায় মাশরাফিও আলাদা করে টিকেট চেয়েছেন বিসিবি থেকে, এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘কালকের ম্যাচের জন্য ২০-২৫টি টিকিট দরকার, ফাইনাল বলে একটু বেশি টিকিট চেয়েছি। কিন্তু পাব কি না কে জানে! কোথাও নাকি টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।’

তারপরেও টিকেট না পেলেও সবাই বসে যাবে টিভির পর্দায়। বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন দেখতে সবাই কতোটা উদগ্রীব তারই প্রমাণ এই টিকেট শূন্যতা।

এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।