মিরপুরে টিকিট নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড


প্রকাশিত: ০৬:০৯ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৬

প্রথমবারের মত এবার এশিয়া কাপ আয়োজিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর বরাবরই এ সংস্করণের খেলার প্রতি আকর্ষণ একটু বেশিই থাকে দর্শকদের মধ্যে। আর সেখানে যদি ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ, তাহলে তো কথাই নেই। এর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশের শহর থেকে গ্রামে, অলিতে-গলিতে। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটপ্রেমীরা চাইবেন নতুন এ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে; কিন্তু তার জন্য তো চাই ফাইনালের একটি টিকিট! কিন্তু কোথায় মিলবে সেই টিকিট নামের সোনার হরিণ?

কথা ছিল ইউসিবি ব্যাংকের মিরপুর শাখায় সরাসরি টাকা দিয়ে দর্শকরা টিকিট কিনতে পারবেন। ফাইনালের টিকিট পেতে ৩৬ ঘণ্টা আগেই সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাশরাফিদের ভক্তরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে টিকিট ছাড়ার কথা; কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর আরও দেড় ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও খোলা হচ্ছে না ব্যাংক।

Mirpur-UCB-Bank

কিশোরগঞ্জ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এসেছিলেন একই এলাকার পাঁচ যুবক। আকাশ, মেহেদী, সাকিন, নবীন ও শ্রাবণ-এই পাঁচজনই ছাত্র। মধ্যবিত্ত পরিবারের এ যুবকদের ক্ষমতা ছোট, কিন্তু স্বপ্ন অনেক বড়। স্বচক্ষে দেখবেন টাইগারদের বিজয়। তাই চলে এসেছেন ঢাকায়। কালোবাজারিদের কাছ থেকে চড়া দামে টিকিট কিনতে না চাওয়ায় দুই দিন আগে থেকেই মিরপুরের ইউসিবি ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। দুইদিন যাবৎ না খেয়ে, না ঘুমিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন একটি টিকিটের প্রত্যাশায়; কিন্তু একই প্রশ্ন কোথায় টিকিট?

আর এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই হয়ে পড়েছেন অসুস্থ। কেউবা পানিশূন্যতায় ঢলে পড়ছেন রাস্তর ওপরই। এ সুযোগে অনেকেই লাইন ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন; কিন্তু লাইনইবা কোথায়? ছোট্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। কেউবা পাশের দেয়ালে ধরে ঝুলে রয়েছেন। এ নিয়ে রীতিমত মত লঙ্কাকাণ্ড। এদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও বেপরোয়া। লাঠিচার্জ করতে হচ্ছে টিকিট প্রত্যাশীদের ওপর। আনা হয়েছে জলকামানও।

Mirpur-UCB-Bank

টিকিটের আকাশচুম্বী চাহিদার কারণে এখানে ইউসিবি ব্যাংকের সামনে শুক্রবার থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল ২৫জন পুলিশ সদস্যের একটি প্লাটুন। আজ পুলিশের সংখ্যা আরও বেড়েছে; কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাড়ছেন না তারা। ফলে তৈরী হয়েছে অনাকাংখিত পরিস্থিতিরও।

আরটি/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।