ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩০ রান


প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৬

ফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ! প্রশ্নটা জানা যাবে আর কিছুক্ষণ পরই। পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ১২৯ রানের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলেই। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে সরফরাজ আহমেদ আর শোয়েব মালিকের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের সামনে ৭ উইকেট হারিয়ে এই স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হলো পাকিস্তান।

মাশরাফিদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে ১৪তম ওভারের আগ পর্যন্ত কোন ওভারেই ২ অংকের রান নিতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ নিয়েছিল ৮ রান করে। ১৪তম ওভারে এসেই খেলার মোড় পরিবর্তণ করতে থাকে পাকিস্তান। এ ওভারে নেয় ১১ রান। সর্বোচ্চ ১৪ রান নেয় ১৫তম ওভারে। শেষ ২ ওভারে ২৪ রান নেয়াতেই পাকিস্তানের রান ১২৯ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে।

অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর বাংলাদেশের বোলারদের সামনে রীতিমত কাঁপতে শুরু করেছিল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। শুরুতেই আল-আমিন, আরাফাত সানি এবং মাশরাফিকের বলে একের পর এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আফ্রিদির দল। ১৮ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তানিরা।

প্রথম ওভারে তাসকিনের দুর্দান্ত গতিময় বোলিংয়ের মুখে হাফিজ আর খুররম মনজুর নিতে পেরেছিল মাত্র ১ রান। তার সুইংয়ে কোনমতে আত্মরক্ষা করতেই যেন ব্যস্ত ছিল দুই পাকিস্তানি ওপেনার; কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে আর রক্ষা পেলো না। আল আমিন বোলিং বোলিং করতে এসে প্রথম বলেই তুলে নিলেন ওপেনার খুররম মনজুরের উইকেট। তার বাউন্স হওয়া বলটিতে শট খেলতে গিয়েছিলেন; কিন্তু ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন খুররম।

বাংলাদেশি পেসারদের আক্রমণের সঙ্গে স্পিনারদের মায়াবী ঘূর্ণিতেও আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই মাশরাফি আক্রমণে নিয়ে আসেন স্পিনার আরাফাত সানিকে। নিজের প্রথম ওভারের ৫ম বলেই শারজিল খানকে বোল্ড করে দিলেন আরাফাত সানি।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার প্রথম ওভারের ৫ম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ। ১১ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর জুটি বাধেন সরফরাজ আহমেদ আর উমর আকমল। কিন্তু এ জুটি টিকতে পেরেছিল মাত্র ১০ রান। ২৮ রানের মাথায় ১১ বলে ৪ রান করে ফিরে যান উমর আকমলও।

এরপরই মূলতঃ পাকিস্তানের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন শোয়েব মালিক এবং সরফরাজ আহমেদ। আগের ম্যাচেও শোয়েব মালিকের ব্যাটে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচেও কথা বললো শোয়েবের ব্যাট। অবশেষে দলীয় ৯৮ রানের মাথায় ৩০ বলে ৪১ রান করে আউট হন শোয়েব মালিক। আরাফাত সানির বলে তার ক্যাচ ধরেন সাব্বির রহমান। এরপর মাঠে নামেন আফ্রিদি। কিন্তু ২ বল মোকাবেলায় কোন রান না করে আল আমিনের বলে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি।

শেষ উইকেট জুটিতে আনোয়ার আলিকে নিয়ে সরফরাজ আহমেদ ২৭ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত আনোয়ার আলি ১৩ রানে আউট হলেও সরফরাজ অপরাজিত থেকে যান ৫৮ রানে। ৪২ বলে ৫টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

বাংলাদেশের পেসার আল আমিন ২৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন আরাফাত সানি এবং ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন এবং মাশরাফি।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।