ধর্মশালায় পাক-ভারত ক্রিকেট বন্ধের দাবি কংগ্রেস-বিজেপির


প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ০১ মার্চ ২০১৬

শেষ পর্যন্ত ভারতের ধর্মশালায় স্বাগতিক ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে তো! এই একটি ম্যাচকে ঘিরে বেশ টানাপড়েন তৈরী হয়েছে ভারত-পাকিস্তান এবং আইসিসির মধ্যে। নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে প্রথমে পাকিস্তানের ভারতেই আসা নিয়ে তৈরী হয়েছিল শঙ্কা। যদিও পাকিস্তান সরকার অনুমতি দিয়েছে আফ্রিদিদের ভারতে আসার জন্য।

কিন্তু নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়ে। যে কারণে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে পাক-ভারত ম্যাচটি বাতিল করা কিংবা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। আগামী ১৯ মার্চ ধর্মশালায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রোববার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই-কে লেখা চিঠিতে ওই ম্যাচটি বাতিল করতে অথবা অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি লিখেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং রাজনাথকে লিখেছেন, ‘হিমাচল প্রদেশের অনেক জওয়ান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েছে এবং দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। আমরা নিজেদের জওয়ানদের জীবন উৎসর্গ করাকে সম্মান করে থাকি। এ অবস্থায় এখানে ক্রিকেট ম্যাচের পক্ষে নই। এ জন্য হিমাচল প্রদেশে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ম্যাচ হওয়া উচিত নয়।’

এরআগে, ধরমশালায় ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের জন্য হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সচিব এবং বিজেপি সংসদ সদস্য অনুরাগ ঠাকুরের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়। হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রেসিডেন্ট ঠাকুর সুখবিন্দর সিং সুখু বলেন, ‘বিসিসিআই-কে শহীদ পরিবারের অনুভুতির কথা বিবেচনা করে এই ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল করে দেয়া উচিত অথবা এর আয়োজন অন্য কোনো রাজ্যে করা উচিত। আমরা অন্য কোনো ম্যাচ আয়োজনের বিরুদ্ধে নই। আমরা কেবল পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের বিরোধিতা করছি। কারণ এর ফলে মানুষের মধ্যে বিশেষকরে শহীদদের পরিবারের অনুভূতিতে আঘাত লাগবে।‘

হিমাচল প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সংসদ সদস্য শান্তা কুমার এবং সাবেক বিজেপি বিধায়ক রাকেশ পাঠানিয়াও ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধের দাবি করেছেন। বিজেপি’র সিনিয়র নেতা শান্তা কুমার শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘হিমাচল প্রদেশ সাহসী সেনাদের ভূমি এবং পাঠানকোট সন্ত্রাসী হামলা নিহত দুই সেনাও এই এলাকার। তাদের স্মৃতিসৌধও ধরমশালা ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে। শহীদ হওয়া সেনাদের সম্মানে রাজ্যে ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ করে দেয়া উচিত।’

নানা দিক থেকে একের পর এক সমালোচনা আর আবেদন আসলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর কিন্তু ধর্মশালাতেই পাক-ভারত ম্যাচ আয়োজনে বদ্ধপরিকর।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।