হারলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে আরব আমিরাত


প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একটা সম্পূর্ণ পেশাদার দলের বিপক্ষে আরব আমিরাত যেভাবে খেলেছে, তাতে অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য তারা। ক্রিকেটটা আরব আমিরাতের ক্রিকেটারদের প্রধান পেশা নয়। তারা অন্য কাজের মাঝে ক্রিকেট খেলে মাঝে-মধ্যে। সে হিসেবে সম্পূর্ণ অপেশাদার একটি দল আমিরাত। তবুও তারা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে, তাতে সবার মন ভরে গেছে। জিততে না পারাটা ছিল তাদের জন্য দুর্ভাগ্য।

পাকিস্তান খুব বেশি পেশাদার বলেই মাত্র ১৭ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও কামব্যাক করতে পেরেছে। শোয়েব মালিক এবং উমর আকমলের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কারণেই জিতেছে পাকিস্তান। তবুও, আমি বলবো আজকের ম্যাচটি হয়তো জিতেছে পাকিস্তান; কিন্তু হৃদয় জিতেছে আরব আমিরাত।

তবে আমি মনে করি, বড় একটা মঞ্চে এসে এভাবে লড়াই করাটাও তাদের জন্য আমি অনেক বড় অর্জন। ভবিষ্যতে তাদের জন্য ভালো হবে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স। আফগানিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে কারা চূড়ান্ত পর্বে উঠে এসেছে। এই দেশটির ক্রিকেট বোর্ড যদি কোনো নিয়ম মেনে চলতো, ক্রিকেটারদের বেতনভুক্ত করে নেবে, বয়সভিত্তিক ক্রিকটে চালু করলে আরব আমিরাতের ক্রিকেট আরও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

আরব আমিরাত যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে বাংলাদেশের জন্যও ভালো। কারণ, তখন তারা হবে সমশক্তির দল। প্রচুর সিরিজ খেলা যাবে। কাছাকাছি দেশ হওয়ার কারণেও সুবিধা হবে অধিক পরিমাণে সিরিজ খেলার জন্য। তাহলে উপকৃত হবে বিশ্ব ক্রিকেট। পাশাপাশি উপকৃত হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটও।

পাকিস্তানকে নিয়ে বলবো, তারা অনেক পেশাদার। আগের দিনের কথা চিন্তা করুণ! বাংলাদেশ ঠিক এ রকম পরিস্থিতিতে পড়ে কামব্যাক করেছে। এটা বড় দলগুলোর সঙ্গে ছোটদলগুলোর পার্থক্য। বাংলাদেশের মতো একই কাজ করেছে তারা। পিছিয়ে পড়ার পর কামব্যাক করেছে। বোলিংয়ে তারা বরাবরই শক্তিশালী। মোহাম্মদ আমির তো অসাধারণ বোলিং করছে। একেবারে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো। ৫ বছর বিরতি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর সেই ফর্মই যেন ফিরে পেয়েছে সে। কঠোর পরিশ্রম আর কঠিন অধ্যাবসায়ের ফলেই এতটা ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে পারছে সে।

আগামীকাল ভারত-শ্রীলঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ইতিমধ্যে দুই ম্যাচ জিতে গেছে ভারত। শ্রীলঙ্কা এক ম্যাচ হেরেছে। ফলে দু’দলের জন্যই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে, আমি ভারতকেই এগিয়ে রাখবো। কারণ, দলটির ব্যাটসম্যানরা সবাই দারুণ ফর্মে রয়েছে। শ্রীলঙ্কার আগের সেই শক্তি নেই। তারপরও মালিঙ্গা ইনজুরিতে। সে থাকাটা মাইনাস পয়েন্ট। থাকলে হবে প্লাস পয়েন্ট। তবুও টি-টোয়েন্টি বলে কথা। এখানে যেদিন যে ভালো খেলবে, তারই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

লেখক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার

আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।