এ যেন ক্যাচ মিসের মহড়া


প্রকাশিত: ০৪:০৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

১৯৯৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটির উদাহরণই চলে আসে সব সময়। হার্সেল গিবস যখন স্টিভ ওয়াহর ক্যাচটা ফেলে দিলেন, তখন স্টিভ হার্সেল গিবসকে বলেছিলেন, ‘ম্যাচটাই হাত থেকে ফেলে দিলে বাছা!’ চলতি এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মার ক্যাচটা ফেলে দিয়ে সাকিব আল হাসানই যেন ম্যাচটা হাত থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষেও তাদের ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়েছিলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনার দুটি ক্যাচ মিসের সুযোগে গড়তে পেরেছিল ৪৬ রানের জুটি। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে শ্রীলংকার বিপক্ষে যেন ক্যাচ মিসেরই মহড়া দিচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রথম দুই ওভারেই নিশ্চিত আউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন দুই ওপেনার দিলশান এবং চান্ডিমাল। চতুর্থ ওভারে এসে সাকিব আল হাসানের বলে দিলশানের আকাশে ওঠা দুর্দান্ত একটি ক্যাচ তালুবন্দী করতে পেরেছেন সৌম্য সরকার। পতন ঘটে প্রথম উইকেটের।

তবে, একই ওভারে আরও একটি ক্যাচ মিস হয়। সাকিবের ৫ম বলে সেনান জয়সুরিয়া রক্ষনাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও বল ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায়। মুশফিকুর রহিম যদি একটু ডাইভ দিতেন, তাহলে ক্যাচটা ধরা সম্ভব ছিল; কিন্তু উইকেটের পেছনে থাকলে যেভাবে ডাইভ দেন, সেভাবে এখানে ডাইভটা দিলেন না তিনি।

ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজকে আনা হয় আক্রমণে। দ্বিতীয় বলেই চান্ডিমাল মারলেন একটি বাউন্ডারি। কিন্তু তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত একটি স্লোয়ার দেন মুস্তাফিজ। চান্ডিমালের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। কিন্তু নুরুল হাসান দাঁড়িয়েছিলেন একটু পেছনে। কয়েক ইঞ্চি সামনে ড্রপ খায় বলটি। সুতরাং এ যাত্রায়ও বেঁচে যায় শ্রীলংকা।

আর চারটি ক্যাচ মিস করে বলতে গেলে বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি ব্যাকফুটে।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।