ভারত-পাকিস্তান মহাযুদ্ধের এক্স-ফ্যাক্টর


প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ক্রিকেটের যে কোনও ফরম্যাটেই পাক-ভারত মানে মহাযুদ্ধ। আর টি-টোয়েন্টিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবচেয়ে কম মুখোমুখি হয়েছে। ঢাকায় আজ কোন পাঁচটি বিষয় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে- সেগুলোই জানাচ্ছি জাগো নিয়েজের পাঠকদের

বাঁ-হাতি পাক পেস বনাম ভারতীয় ব্যাটিং
আফ্রিদির দলে তিন জন বাঁ-হাতি পেসার রয়েছে। ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফান, মোহাম্মহ আমের। সবাই ১৪৫-এর উপরে গতিতে বল করে যেমন, তেমনই ভারতীয়রা ভেতরে আসা পেস বল খেলতে অস্বস্তিতে পড়ে। এটা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও হতে পারে। পাকিস্তান এই তিন বোলারের ১২ ওভার ভারতের গোটা ইনিংসে ছড়িয়ে দিয়ে ব্যবহার করবে। রোহিতদের সারাক্ষণ চাপে রাখার চেষ্টা করবে।
 
অশ্বিনের বোলিং
রবিচন্দ্র অশ্বিনের স্পিনে এখন এত বৈচিত্র যে ওই চার ওভারেই ভারত ম্যাচ পকেটে পুরে নিতে পারে। এমনিতেই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা টি-টোয়েন্টি তাড়াহুড়ো করে খেলে। অশ্বিন তাই নারিন হয়ে উঠে একাই চার-পাঁচটা উইকেট তুলে নিলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।
 
বিরাট-ফ্যাক্টর
পাকিস্তান ম্যাচে সব সময়ই বিশেষ কিছু দেখা যায় বিরাট কোহলির ব্যাটে। অনেকটা পাক ম্যাচে শচিনের মতো। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের রেকর্ড অসাধারণ। টি-টোয়েন্টিতেও দু’দলের যুদ্ধে সর্বোচ্চ ইনিংস তারই।
 
শের-ই বাংলার পিচ
উইকেট গ্রিনটপ না হলেই অবাক হবে সবাই। ধোনি টস জিতলে আগে ব্যাট করে বড় রানের ইনিংস পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয় কি না দেখার বিষয়। আফ্রিদির দলে একজনও বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান নেই। বড় রানের চাপে সবুজ পিচে পাক ব্যাটিং ভাঙতে মনে হলে নেহরা-বুমরাহরাই যথেষ্ট।
 
ধোনি বনাম আফ্রিদির ক্যাপ্টেন্সি
হার্দিক বা যুবরাজকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে ঠেলে দিতে পারে ভারত। পাক পেসারদের পাল্টা জবাব দিতে। তবে মোহাম্মদ আমেরকে দু’টোর বেশি ম্যাচে খেলার অভি়জ্ঞতা নেই যুবরাজ, রায়না, ধোনি, জাদেজা, বিরাটেরও। তাই ওর হাত থেকে ভারতীয় ব্যাটিং বাঁচানোর কী গেমপ্ল্যান ধোনি করে, দেখার বিষয়। অপরদিকে পাকিস্তান দলটি যেহেতু অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া, এই দলটিকে ভারতের সামনে কিভাবে পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ আফ্রিদি, সেটাই দেখার বিষয়।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।