বাংলাদেশের পক্ষে কথা বললেন কোহলি


প্রকাশিত: ০১:০৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আগের দিনই হারশা ভোগলেকে বাংলাদেশের জ্যাম নিয়ে টিপ্পনী কেটেছিলেন রবিচন্দন অশ্বিন। ‘বাংলাদেশের জ্যামে পড়লে প্রতিটি সিগন্যালে ২০ দিনের চেয়ে বেশি সময় কাটাতে হবে।’ ভোগলে এবং অশ্বিনের টিপ্পনি বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এ কারণে মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে ভারতীয় কয়েকজন সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের জ্যাম সম্পর্কে। জবাবে কোহলি তাদের জানিয়ে দেন, ‘ভারতে এর চেয়েও বড় জ্যামে তিনি আটকে থাকেন। তাই বাংলাদেশের জ্যামকে তিনি আলাদা চোখে দেখছেন না।’

বাংলাদেশের জ্যাম প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘এখানকার ট্র্যাফিক জ্যাম আমাদের দেশের মতই। দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের সঙ্গে এর কোন পার্থক্য নাই। আমার দিল্লির জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকার অভ্যাস রয়েছে এবং গাড়িতে ঘুমানোর অভ্যাসও রয়েছে।’ তবে জ্যামে পড়লে তিনি কি করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বো। অন্য কোন বিকল্পতো নাই।’

বাংলাদেশে এর আগে ভারত অনেক খেলেছে বলে এখানকার কোন কিছুতেই তেমন কোন সমস্যা হবে না বলেও জানান কোহলি। জ্যাম নিয়ে তার মাথাব্যাথা না থাকলেও বাংলাদেশের ভিন্নধর্মী কন্ডিশন নিয়ে ভাবছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘এখানকার কন্ডিশন একটু ভিন্নধর্মী। বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়। কখনো শিশির পড়ে আবার কখনো না। এটা অনেক বড় পার্থক্য। অতীতে আমরা দেখেছি শিশিরের কারণে সম্পূর্ণ এক দলীয় খেলা হয়ে যায়। টসটাই তখন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের কন্ডিশনটা ভালো করে খেয়াল করতে হবে। কিন্তু ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ে কোন সমস্যা নাই কারণ আমার গাড়িতে অপেক্ষা করার অভ্যাস রয়েছে।’

আরটি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।