পয়েন্ট টেবিলে নিরঙ্কুশ বার্সেলোনা


প্রকাশিত: ০৫:২২ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ডামাঢোলের মধ্যেই লা লিগায় মাঠে নামল বার্সেলোনা। গত ডিসেম্বরে ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে গিয়ে লা লিগায় ম্যাচের দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। অ্যাটলেটিকো কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের মত ক্লাবগুলো ২৪টি করে ম্যাচ খেলে ফেললেও, বার্সেলোনার ছিল ২৩টি। সেই ঘাটতি পূরনেই সম্ভবত সপ্তাহের মধ্যখানে তাদের আবার মাঠে নামতে হলো। এল মোলিননে গিয়ে তারা মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক স্পোর্টিং গিজনের। এই ম্যাচেই মেসির জোড়া গোলে স্পোর্টিং গিজনকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে আসলো বার্সেলোনা। কাতালানদের হয়ে বাকি গোলটি করলেন লুইস সুয়ারেজ। স্পোর্র্টিং গিজনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কার্লোস কাস্ত্রো।

বার্সেলোনার ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগ বরাবরের মতোই স্বরূপে আবির্ভূত হলো স্পোর্টিং গিজনের সামনে। মেসি-নেইমার আর সুয়ারেজের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে ওঠে স্পোর্টিং। তিনজনের ত্রিমুখি আক্রমণে নিজেদের রক্ষণ ছেড়েই বের হতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবুও ২৫ মিনিটে মেসির গোলের পর সমতায় ফেরার একটি গোল করে বসে স্পোর্টিং। যদিও পরে বার্সার ত্রিফলার সামনে পুরোপুরি অসহায় হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। তবুও গোলরক্ষক ইভান কুয়েলারের দুর্দান্ত কিছু সেভের কারণে আরও গোল হজম করা থেকে।

এই জয়ের পর লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে নিরঙ্কুশ অবস্থান তৈরী করলো বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট এখন ৬০। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকোর চেয়ে বার্সা এগিয়ে ৬ পয়েন্ট। সমান সংখ্যাক ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর পয়েন্ট ৫৪ আর তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৩। লিগের আর বাকি মাত্র ১৪ রাউন্ডের খেলা। এই ১৪টি রাউন্ড যদি বার্সা সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে লা লিগার শিরোপা ঠেকানোর সাধ্য কারও থাকবে না।

মাঠে নামার আগেই স্পোর্টিং সমর্থকদের উসকে দিয়েছিলেন বার্সা কোচ লুইস এনরিকে। বলেছিলেন, এল মোলিননে ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়তে চাই। তবে, স্পোর্টিং কিন্তু সেভাবে তেতে উঠতে পারেনি। যদিও খেলার শুরুতে বেশ কিছু আক্রমণ তৈরী করেছিল তারা এবং চেষ্টা করেছিল বার্সার রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দিতে। কিন্তু ফেভারিট হিসেবে প্রথম গোলটা করলো বার্সাই। খেলার ২৫ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের দুর্দান্ত পাস থেকে বাম পায়ের কোনাকুনি শট থেকে গোলের দেখা পায় বার্সা।

Suarez
এর দুই মিনিট পরই অবশ্য সমতায় ফেরে স্পোর্টিং গিজন। কার্লোস ক্যাস্ট্রোর ৬ গজ দুর থেকে নেয়া ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে কেঁপে ওঠে বার্সার জাল। ১-১ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। এরপরই একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ব্যস্ত করে তোলে বার্সা। ৪ মিনিট যেতে না যেতেই, খেলার ৩১তম মিনিটে আবারও গোল করলেন মেসি। এবার পোস্টের মধ্যে বার কয়েক বল আসা যাওয়া করছিল। স্পোর্টিংয়ের রক্ষণভাগ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো কিভাবে গোল তৈরী করতে হয় এবং ফিনিশিং দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত লুইস সুয়ারেজেরে পাস থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের বুলেট গতির শটে স্পোর্টিংয়ের জালে জড়ায় বলটি।

খেলার ৬৭ মিনিটে এসে গোলের দেখা পান লুইস সুয়ারেজ। আলেক্স ভিদালের পাসে বল পেয়ে ডান পাশ থেকে বাম পায়ের শট নেন সুয়ারেজ। এ শটেই বল জড়িয়ে যায় স্পোর্টিংয়ের জালে। প্রতিটি গোলেই ছিল নেইমোরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। নিজেও বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু নেইমার লক্ষ্য ভেদ করতে পারেননি।

আইএইচএস/আরআইপি

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।