মীর কাসেমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ


প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিল আবেদনের প্রাথমিক যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন তার (মীর কাসেম আলী) আইনজীবীরা। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বুধবার মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানিতে তার পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান আসামিপক্ষে  যুক্তি উপস্থাপন করেন।

মীর কাসেম আলীর আইনজীবী এসএস শাহজাহান বলেন,  আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের আনা সকল অভিযোগের উপর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তি পেশ করবেন। তারপর আমরা উনার রিপ্লাই দিতে পারবো।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে  শুনানি শেষে মামলায় পরবর্তী তারিখ ঠিক করে আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।

আসামিপক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন- মীর কাসেমের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এছাড়া আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম, ব্যারিস্টার জাকের আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির ও প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন।
 
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর খালাস চেয়ে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন।

ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও মরদেহ গুম এবং ২৪ জনকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্যাতনকেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী ১৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত হন মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াতের কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষ নেতা এবং সেইসময়ের ইসলামী ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদক মীর কাসেম আলী। এ ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত। বাকি চারটি অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি।

মীর কাসেম আলীর মামলাটির মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি শেষ হবে সপ্তম আপিল মামলা। এর আগে ঘোষিত ছয়টি আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বাকি দুটি আপিলের মধ্যে একটির পূর্ণাঙ্গ ও একটির সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়।  

এফএইচ/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।