সুয়ারেসের হ্যাটট্রিকে বার্সার গোল উৎসব
লুইস সুয়ারেসের হ্যাটট্রিকের সাথে মেসি-নেইমার-রাকিতিচের গোলে রীতিমত গোল উৎসব করেছে বার্সা। নিজেদের মাঠে সেল্টা ভিগোকে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে লিগে প্রথম পর্বে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো এনরিকের শিষ্যরা। গত সেপ্টেম্বরে সেল্টার কাছে প্রথম পর্বের ম্যাচটি ৪-১ গোলে হেরেছিল মেসি-নেইমাররা।
প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে বার্সা। ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের ব্যবধানে দুবার গোলের কাছে গিয়েও হতাশায় শেষ হয় মেসি-নেইমারদের আক্রমণ। ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাছ থেকে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন নেইমার।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে চমৎকার এক ফ্রি কিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। এরপর এক প্রতি আক্রমণে ৩৯ মিনিটে ডি বক্সে ঢুকে পড়া সুইডেনের স্ট্রাইকার জন গুইদেত্তিকে স্বাগতিক ডিফেন্ডার জর্দি আলবা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেল্টা। তা থেকে নিজেই দলকে এগিয়ে দেন সুইডেনের স্ট্রাইকার জন গুইদেত্তি।ফলে ১-১ গোলের সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে রীতিমত ভয়ংকর রূপ ধারণ করে বার্সা। খেলা শুরুর প্রথম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়ে আবারও ব্যর্থ হন নেইমার। এরপর ম্যাচের ৫৯ মিনিটে মেসির চিপ করে বাড়ানো বল ডি বক্সে পেয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সুয়ারেস। এরপর ৭৫তম মিনিটে নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সুয়ারেস।
আর ৮১তম মিনিটে ফুটবলের গণ্ডি ছাড়িয়ে মেসি-সুয়ারেস যেন গড়লেন নতুন কিছুর উদাহরণ। এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ীকে ডি বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডার কাস্ত্রো ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। স্পটকিক নিতে এগিয়ে এলেন মেসি নিজেই, দৌড়ে এসে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে থেমে গেলেন, ছোট্ট একটা টোকা দিলেন আর ছুটে এসে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসলেন সুয়ারেস।
এর তিন মিনিট পর সুয়ারেসের বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইভান রাকিতিচ। আর সবশেষে ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে মেসি-সুয়ারেসের সাথে নাম লেখান নেইমার। সুয়ারেসের বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নেইমার। এই জয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তিন পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রেখে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলো বার্সেলোনা।
এমআর/এমএস