যুব দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন মিরাজ
শ্রীলংকার বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। জয় দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের যুব ক্যারিয়ারের শেষ দিনটাকে। শুধু তাই নয়, অনুর্ধ্ব-১৯ ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে (তিন দিনের ম্যাচ) সেঞ্চুরি দিয়ে শুরু করা মিরাজ এদিনও দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি উপহার দেন। এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। এ জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়াও আদায় করেন এই তরুণ ক্রিকেটার।
শনিবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘আজকে আমার শেষ ম্যাচ। সবচেয়ে মজার জিনিস হচ্ছে আমার অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে। আজকেও শেষ হল শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমার সবকিছুর জন্যে অবদান আল্লাহর। আরও একটা জিনিস, শুরুটা সেঞ্চুরি দিয়ে করছিলাম। শেষটা ৫০ আর ৩ উইকেট দিয়ে করলাম। সব মিলিয়ে মোটামুটি বলা যায় যে, শুরুটা ও শেষটা দুটোই ভালো হয়েছে। আমি অনেক খুশি। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে এ জিনিসটি দেওয়ার জন্যে।’
যুব ক্রিকেটের ক্যারিয়ারে মোট ৫৬টি ম্যাচে ৫১টি ইনিংস খেলে মোট ১৩০৫ রান করেন মিরাজ। ২৯ গড়ে সর্বোচ্চ রান ৮৭। আর ৫৫ ইনিংসে বল করে ৩.৭৬ হারে রান দিয়ে মোট ৮০টি উইকেট তুলের নেন তিনি। এর মধ্যে ৫৩টি মেডেন পেয়েছেন এই তরুণ। সেরা ১৭ রানে ৫ উইকেট। মিরাজের এই ৮০ উইকেট অনুর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে বিশ্ব রেকর্ড। তিনিই এই বিশ্ব যুব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের অধিকারি।
তবে পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি তার প্রাপ্তি। আইসিসির কোন টুর্নামেন্টে সেরা সাফল্য এলো তার হাত ধরেই। এছাড়া যুবাদের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট প্রাপ্তির রেকর্ডও এই বিশ্বকাপেই নিজের করে নিয়েছেন। পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন এই রেকর্ড গড়েন তিনি। এছাড়া টেস্ট খেলুড়ে দলের হয়ে একমাত্র মিরাজই দুইবার বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবার বিরল কৃতিত্ব গড়েছেন। তার ক্যারিয়ারের ৫৬ ম্যাচের জয় পেয়েছেন ৩০টিতে, হার ১৭টি অপর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত।
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি