চাপ সামলে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৬:৫২ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বড় সাফল্য দিয়ে গত বছরটি নিজেদের করে নিয়েছিল মাশরাফি-সাকিবরা। আর এই বছরটি যেন মাশরাফি-সাকিবদের উত্তরসূরি মিরাজ-শান্তদের। প্রথমবারের মত যে কোন পর্যায়ের যে কোন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। এবার তাদের লক্ষ্য নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে ফাইনাল খেলা। আর এ লক্ষ্যে মিরাজের অর্ধশতকের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২৬ রান সংগ্রহ করেছে টাইগার যুবারা।

এর আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে যুবাদের সবচেয়ে বড় আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওপেনার পিনাক ঘোষের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফিরে যান সাজঘরে। এরপর সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই পিনাককে অনুসরণ করেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। ১৬ বল খেলে ব্যক্তিগত ১০ রান করে দলীয় ২৭ রানের সময় আউট হয়ে যান তিনি।

এমন অবস্থায় দলকে কিছুটা এগিয়ে যান জয়রাজ শেখ এবং নাজমুল হোসাইন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৩১ রানের জুটি। তবে ১৩তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫৮ রানে হেটমায়েরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শান্ত। ২৪ বল খেলে তিনি করেন ১১ রান। জাকিরকে নিয়ে সে ধাক্কাও সামলে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন জয়রাজ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রানে জয়রাজের বিদায়েই আরেকটি আশা জাগানো জুটির সলিল সমাধি ঘটে ৩০ রানেই। পরে জাকিরও ২৪ রানে হোল্ডারের বলে স্ট্যাম্প হারিয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন।

এরপর দলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন যুবাদের অধিনায়ক মিরাজ। ষষ্ঠ উইকেটে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই ব্যাটসম্যান। এই দুজনের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিনের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়ে ফেরার সময় ৬০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন মিরাজ। তার ৭৪ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার। মিরাজের পরের বলে অবশ্য সাইফউদ্দিনও বিদায় নেন। তার ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৩৬ রান। দুটি উইকেটই নেন কেমো পল। শেষ দিকে মোসাব্বেক হোসেন ১৪ আর রানা ১০ রান করলে ২২৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

এমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।