শপথের পর তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা
শপথের পর আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতিকে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে এক অনুষ্ঠানে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন ; মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা, আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি ও আইনজীবীরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বক্তব্য দেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ২০০১ সালে বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান হাইকোর্ট বিভাগের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু ২০০৩ সালে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ থাকার পরেও তাদেরকে স্থায়ী করা হয়নি। সেই অবিচারের সমাপ্তি হলো আজ।
তিনি বলেন, সে সময় যদি তাদেরকে স্থায়ী করা হতো, তাহলে আজ জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের প্রশ্ন আসতো না। তারাই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি থাকতেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ক্ষোভ নিয়ে সংবর্ধনায় এসেছি। বিচারপতিদের নিয়ে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। ক্ষোভ রয়েছে সরকারের প্রতি। বিচারপতি কোনো নীতিমালা না থাকায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদি নীতিমালা থাকতো, তাহলে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হতো না, জনমনেও কোনো প্রশ্ন উঠতো না। প্রধান বিচারপতিকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১০টায় সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনের জার্জেজ লাউঞ্জে শপথ নেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি। সংবিধানের ৯৫ (১) ধারার ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের এ তিন বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
এ তিনজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগে মোট বিচারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৯জন। তাদেরকে নিয়ে আপিল বিভাগের দুই বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর