মাদার তেরেসা পুরস্কার শেখ কামালকে উৎসর্গ তরফদার রুহুল আমিনের
গত মাসে ভারত থেকে পাওয়া মাদার তেরেসা পুরস্কার প্রয়াত শেখ কামালের নামে উৎসর্গ করেছেন স্বনামধন্য ক্রীড়া সংগঠক এবং সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন। দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২৬ আগস্ট ভারত থেকে ‘মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে' সম্মানিত হন তরফদার রুহুল আমিন।
বৃহস্পতিবার জাঁকজমক পূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধিত করা হলো ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিনকে। জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরামের ব্যানারে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তরফদার রুহুল আমিনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে এক ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেন জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ফোরামের সভাপতি এবং বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূর।
সংবর্ধিত হওয়ার পর প্রতক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন তফরদার মো. রুহুল আমিন। বক্তব্যে তিনি বলেছেন, 'মাদার তেরেসা পুরস্কার প্রাপ্তি আমার নিজের একার নয়, এটা বাঙালি জাতির অর্জন। আমি যে সম্মাননা পেয়েছি মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার সেটা উৎসর্গ করছি আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার, স্বাধীনতা পরবর্তী যুবসমাজকে যিনি সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন ১৯৭৫ সালের কালোরাতে যিনি ঘাতকের বুলেটে শাহাদাত বরণ করেছেন, সেই ক্রীড়া সংগঠক ক্যাপ্টেন শহীদ শেখ কামালকে।'
তরফদার রুহুল আমিন আরো বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠান আয়োজন দেখে আমি এতটাই অভিভূত ও আনন্দিত যে, তা ভাষায় প্রকাশের মত নয়। একটা কথাই বলতে চাই, আজকে ক্রীড়াঙ্গন কিন্তু এক জায়গাতে এসে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়াঙ্গন সব সময়ই এক জায়গাতেই ছিল। ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন সেক্টরে যারা কাজ করছেন; দীর্ঘদিন ধরে অবদান রেখে যাচ্ছেন- সকলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।’
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি এবং আজকের যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমাকে যে মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে, আসলে এই অ্যাওয়ার্ড আমার একার নয়। আপনাদের সকলের, বাঙালি জাতির অ্যাওয়ার্ড এটা। আমি শুধু এটা ভারত থেকে বহন করে নিয়ে এসেছি মাত্র। বাঙালি জাতি এটার জন্য গর্বিত। আপনারা যারা ক্রীড়ার সঙ্গে আছেন এবং আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি- এটা আপনাদের সকলের প্রাপ্য। এখানে যারা মিডিয়ার ভাই-বোনেরা আছেন তারাও এটার দাবিদার।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ), কাবাডি, আরচারি, অ্যাথলেটিকস, জুডো, কারাতে, বক্সিং, সাঁতার, দাবা, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ভারোত্তোলন, উশু, খো খো, রেসলিং, বাশাআপ, মহিলা ক্রীড়া সংস্থাছাড়াও বিভিন্ন ডিএফএ’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ, সাবেক ফুটবলার, ক্লাব কর্তাগণসহ ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরআই/আইএইচএস/