আবাসন খাতে স্বল্প সুদে ঋণ চাইলেন গণপূর্তমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৪

আবাসন খাতের অবিক্রিত ফ্লাটগুলো বিক্রিতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
 
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোতে ফ্লাট বিক্রির জন্য গ্রাহকদের মাত্র ৩ শতাংশ হারে ঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ হার অনেক বেশি। তাই অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফ্লাট কিনতে পারে না।
 
শনিবার ঢাকা চেম্বর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘জনস্বার্থে গৃহনির্মাণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। ডিসিসিআই’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার জিএম জয়নাল আবেদিন ভুঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাশেম এবং রিহ্যাবের প্রতিনিধিবৃন্দ।

মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে অনেক মধ্যবিত্ত এখনও ফ্লাটের মালিক হতে পারেননি। কারণ ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার। ব্যাংকগুলো যদি সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদের ঋণের ব্যবস্থা করে তবে অবিক্রিত ফ্লাট বিক্রি হবে। অর্থাৎ স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে মধ্যবিত্তদের ফ্লাট দেওয়া উচিত।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গরীব ও মধ্যবিত্তদের ঋণ দিলে সেটা কখনও মার যায় না। তাদের ঋণ দিলে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, যুবক, ডেসটিনির মতো হবে না। কারণ তারা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও সরকারি চাকরিজীবীরা ঋণ নিয়ে দ্রুত পরিশোধ করে দেয়। তবে আবাসন কোম্পানির মালিকদের লক্ষ্য রাখতে এসব মানুষদের জন্য ১২শ’ স্কয়ার ফিটের ফ্লাট দিতে হবে। তাদের যদি ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্লাট দেওয়া হয় তবে তারা টাকা পরিশোধ করতে পারবে না। বড় বড় ফ্লাট ধনী ব্যবসায়ী ক্রয় করবেন।
 
মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা ও আশপাশে পরিকল্পিতভাবে নগরায়ন হয়নি। আগে যারা নগর পরিকল্পনাবিদ ছিলেন তারা এ দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে মিল রেখে পরিকল্পনা করেনি। তাদের কোনো ধারণাই ছিলনা যে ভবিষ্যতে ঢাকা কতটুকু সম্প্রসারণ হবে। তাই শহরের আজ এ অবস্থা। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ৬শ’ বছরের পরিকল্পনা করে নগরায়ন করেছে। ফলে তাদের শহরগুলো অনেক সুন্দর।
 
তিনি বলেন, ঢাকার নগরায়ণে আমরা যেসব প্রকৌশলী জড়িত তারা পরিকল্পনায় ভুল করেছি। কারণ এ শহরের মধ্যেই আমরা ট্যানারি ও গার্মেন্টস শিল্প করেছি। যার বর্জ্য গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গাসহ অনেক নদীতে। ফলে নদী দূষিত হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। যদি প্রকৌশলীরা কারখানাগুলোতে ইটিপি’র ব্যবস্থা করতেন তবে এ সমস্যা হতো না। লন্ডনের টেমন নদীর অবস্থাও আমাদের দেশের মতো ছিল। কিন্তু তারা সেখান থেকে নদীকে রক্ষা করতে পেরেছে। আমরাও আশা করছি নদী দূষণমুক্ত করতে পারবো।
 
সেমিনারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার অর্থনীতিবিদ ড. নুরুল আমিন ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে আবাসন খাতের ভূমিকা এবং এ খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।