পাপনও চান আইসিসির প্রেসিডেন্ট হোক নিরপেক্ষ


প্রকাশিত: ০৫:০০ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ক্রিকেট বিশ্বের জন্য নিজেকে এক জ্বলন্ত বিষফোঁড়া রূপে হাজির করেছিলেন এন শ্রীনিবাসন। এরপর আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যখন তিনি দায়িত্ব নিলেন, তখন তো ক্রিকেট হয়ে গেলো গুটিকয় স্বর্থপর, ধান্দাবাজ মানুষের পৈত্রিক সম্পত্তি। আইসিসির সব কিছু নিয়ন্ত্রণের ভার নিয়ে নেয়া হলো মাত্র তিনটি দেশের হাতে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। যাদেরকে বলা হলো বিগ থ্রি (তিন মোড়ল)।

ভারতীয় ক্রিকেট থেকে অবশেষে শ্রীনিবাসনের বিতারণ, আইসিসি থেকেও তার প্রভাব-কর্তৃত্ব কমিয়ে দেয়ার পথ তৈরি করে দিলো। অবশেষে বিসিসিআইরই আরেক প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর এসে ঘোষণা দিয়ে দিলেন, শ্রীনিবাসন যা যা করেছেন, সবই পাল্টানো হবে। রিভিউ করে নতুন আইন তৈরি করা হবে। আইসিসি চেয়ারম্যান বলুন আর প্রেসিডেন্ট- কোনো পদই আর বিগ থ্রির দখলে থাকবে না। রোটেশন পদ্ধতিও বাতিল। এখানে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীই নির্বাচিত হয়ে আসবেন।

গত বুধবার আইসিসির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই এ ব্যাপারে জানিয়েছিল খোদ আইসিসি। ওই বৈঠক থেকে ফিরে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও জানালেন, তিনি নিরপেক্ষা আইসিসি প্রেসিডেন্ট কিংবা চেয়ারম্যানের পক্ষে।

শ্রীনিবাসন একাধারে বিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট এবং আইসিসির চেয়ারম্যান। স্বার্থের সংঘাত না চাইলেও তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাতে। নিয়ম হলো, আইসিসির নেতৃত্বে যাওয়ার পর অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ দেশের দায়িত্ব ছাড়তে হবে।

দুবাই থেকে ফিরে বিসিবি প্রেসিডেন্টও আজ জানালেন, আইসিসির সর্বোচ্চ পদটা হওয়া প্রয়োজন নিরপেক্ষ। যখনই কোনো নির্দিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান কিংবা প্রেসিডেন্ট আইসিসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তখনই তাকে নিজ দেশের বোর্ডের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

নাজমুল হাসান পাপন এটাও জানান যে, আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে আলোচনার বিষয়ই ছিল এটা। অন্য এজেন্ডা থাকলেও, এটা ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়।

আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।