এমসিসির দ্বিতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন ‘মিশিগান চিতাস’

আশিক রহমান
আশিক রহমান আশিক রহমান মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশ-আমেরিকান ক্রিকেটারদের উদ্যোগে মিশিগানে এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘মিশিগান চিতাস’। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেকদের নিয়ে ৪ দিনের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডেট্রয়েট সিটির লাস্কি রিক্রিয়েশন সেন্টারের মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আবহাওয়া অনুকূল না থাকার পরেও চলে উত্তজনাপূর্ণ ফাইনাল খেলা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পর্যাপ্ত সময়ের অভাবে ম্যাচের দৈর্ঘ্য টানা হয় মাত্র ১০ ওভারে। টসে জিতে মিশিগান চিতাসের অধিনায়ক আরিফুল হক প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ১০ ওভারের ম্যাচে মিশিগান চিতাস ৮ উইকেটে ৯২ রান করতে সক্ষম হয়।

তারকা ক্রিকেটারদের দল মিশিগান চিতাস প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সাবেক খেলোয়াড় শাকের আহমেদ খেলার প্রথম ওভারে ১ রান করার পরেই ক্যাচ আউট করে সাজ ঘরে ফেরান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভ।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক স্পিনার ইলিয়াস সানির বলে ক্যাট আউট হন জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক তারকা ব্যাটার ইমরুল কায়েস। ইমরুল কায়েস মাত্র ৫ বল খেলে ৯ রান করেন।

মিশিগান চিতাসের অধিনায়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অল রাউন্ডার আরিফুল হক ১০ বল খেলে রান করেন ১৬। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অল রাউন্ডার ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ আউট হয়ে ২৫ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন মিশিগান চিতাসের ওপেনার ফয়েজ লিংকন।

মিশিগান চিতাসের ৯২ রানের জবাবে বাংলাদেশ টাইগারস অব ইউএসএর দুই ওপেনার তৌকির খান ও আলী সামাদ ব্যাট করতে মাঠে নামেন। শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হয়ে সাজ ঘরে চলে যান আলী সামাদ (১৬) রান।

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার সোহরাওয়ার্দী শুভ এই ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করে আউট হন। তবে দলের অধিনায়ক জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অল রাউন্ডার ফরহাদ রেজা ২ বল খেলে ০ রান করে আউট হন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার নাসির হোসেন এই টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচে রান করেছেন ৯৭ এবং উইকেট পেয়েছেন ৭টি।

বাংলাদেশ টাইগারস অব ইউএসএ সবকটি উইকেট হারিয়ে ৬৬ রান করেন। ফাইনাল খেলায় মিশিগান চিতাস ২৬ রানে জয়লাভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ম্যাচ সেরা পুরস্কার ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আরিফুল হক। খেলায় ৬ ম্যাচে মোট রান করেন ২১৭ এবং উইকেট ১০টি। সেরা ব্যাটার রানার আপ দলের তৌকির খান (২১৯) রান এবং সেরা বোলার চ্যাম্পিয়ন দলের মোফাস্সির আলী (১৫) উইকেট।

খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থাপিকা নাজিয়া জাহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক তারকা বোলার ও ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক গোলাম নওশের প্রিন্স, জগলুল হুদা মিটু ও ইফতেকার হুসেন।

গোলাম নওশের প্রিন্স বলেন, ফাইনাল ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সবচেয়ে টার্নিং পয়েন্ট মিশিগান চিতাসের ক্রিকেটার সাঈদ আহমেদের অসাধারণ ক্যাচ। পরে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ। কর্মব্যস্ত প্রবাস জীবনেও যারা কাজের ফাঁকে সময় বের করে ক্রিকেট খেলছে, আসলেই এটা গর্বের বিষয়। যারাই ক্রিকেট খেলছে ওদের দেখে মনে হচ্ছে যদি কঠোর পরিশ্রম করে খেলা চালিয়ে যায় ওরাই এদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলে জায়গা করে নেব।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- এমসিসির সভাপতি মোশারফ লিটু, সাধারণ সম্পাদক তায়েফুর রহমান বাবু, হ্যামট্রামেক সিটির সাবেক কাউন্সিলর কাজী মিয়া, সেলিম আহমেদ, শাহাদাত মিন্টুসহ কমিউনিটির অনেক নেতাসহ উল্লেখ্য এবারের আসরে ১০টি দল অংশ নেন। খেলার প্রাইজ মানি ছিল ৫৫ হাজার ডলার।

এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।