কাজী হাবিব হত্যার ঘটনায় ১৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাদেরকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।

কাজী হাবিব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বিশ্ববিদ্যলয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ দফতরের পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ। বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট।

বহিস্কৃতরা হচ্ছেন- সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মো. সাগর হোসাইন, আলাউর খান ইমরান, মইনুল ইসলাম মইনুল, সুজন মিয়া, আশিক উদ্দিন আশিক, কাজী কামরুল আহমেদ, নয়ন রায়, বিশ্বজিৎ দে বাপন ও সায়েদুর রহমান সুমন।

এছাড়া এলএলবি বিভাগের শিক্ষার্থী ইলিয়াস আহমেদ পুনম, আবদুল আউয়াল সোহান ও হারুন রশিদ হারুন। ইংরেজি বিভাগের আনিসুর রহমান আনিস  ও বশিরউদ্দিন আহমেদ তুহিন এবং ইসিই বিভাগের সাইদুর রহমান সায়মন।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় হত্যাকাণ্ডে তদন্তে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট সভায় ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগের ব্যাপারেও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাসের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, শামসি বেগম, রাজিব আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. ইউনুস, বিজিত চৌধুরী, প্রফেসর মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও রেজিস্ট্রার নসরত আফজা চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, ১৯ জানুয়ারি গ্রুপ পরিবর্তন করায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিবের ওপর হামলা করে নিজ দলের নেতাকর্মীরা। প্রথমে হাবিবকে তার সহপাঠিরা সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাকে সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল মাউন্ড অ্যাডেরায় ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার মৃত্যু হয় হাবিবের।

নিহত হাবিব কুমিল­া জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজী সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সে সিলেটের কানিশাইল এলাকায় একটি মেসে থেকে লেখাপড়া করত।

এঘটনায় ২০ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনির্ভাসিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ সাগরকে প্রধান আসামি করে ১১জনের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিরের বড়ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার নামীয় সব আসামিসহ ১৫জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি টিভির ফুটেজেও হত্যাকাণ্ডে বহিস্কৃতরা অংশ নেয়ার চিত্র ধরা পড়ে।

ছামির মাহমুদ/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।