সাকিব-সিমন্সের ব্যাটে করাচির বিশাল জয়


প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

লাহোর কালান্দার্স যখন ব্যাট করছিল, তখন মনে হয়েছিল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট থেকে রান তোলাটা কত কঠিন। ক্রিস গেইল, কেভন কুপার, আজহার আলি, শোয়েব মাকসুদ কিংবা মোহাম্মদ রিজওয়ানের মত ব্যাটসম্যান থাকার পরও লাহোরের রান ১০০ পার হতেও যেন খুব কষ্ট হচ্ছিল। সুতরাং, করাচি কিংসের সামনে মাত্র ১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হলো লাহোরের ব্যাটসম্যানরা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে করাচির শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, তাতে আগের ধারানাটাকেই সঠিক মনে করা খুব স্বাভাবিক। কারণ, জিয়াউল হক আর জাফর গওহরের তোপের মুখে প্রথম দুই ওভারে ৪ রানেই উইকেট হারিয়ে বসেন নুমান আনোয়ার এবং জেমস ভিন্স। শঙ্কাটা বাড়ছিল করাচি সমর্থকদের। ১২৫ রানও কি তবে খুব বড় হয়ে যাচ্ছে?

না, বড় হতে দিলেন না সাকিব আল হাসান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তিনি সঙ্গী হিসেবে পেলেন অপর ওপেনার লেন্ডল সিমন্সকে। এ দু`জনের ব্যাটেই ৭ উইকেটের অসাধারণ এবং সহজ জয় তুলে নিল করাচি কিংস। ৩২ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৫১ রানে আউট হন সাকিব। ৩টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কা মারেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করে লেন্ডল সিমন্সও। ৪৬ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার।

সাকিব আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৭ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত ২৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব আল হাসানের করাচি কিংস। বল হাতে ১ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে দারুন এক হাফ সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো সাকিব আল হাসানের হাতেই।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।