চাপেই ভালো খেলে যুবারা


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে পা রেখেছে বাংলাদেশের যুবারা। প্রতিপক্ষ নেপাল হলেও টপ অর্ডারের সেরা চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দারুণ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সকল চাপ উৎরে গিয়ে ছয় উইকেটের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগার জুনিয়ররা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও জানালেন, চাপেই তারা সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেন।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘খুব ভালো লাগতিছে। আমরা প্রথম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমাদের প্রথম পরিকল্পনাই ছিল সেমিফাইনাল খেলব। ভেতরে বিশ্বাসও ছিল। এজন্যই এটা সম্ভব করতে পেরেছি। আমরা কিন্ত চাপেই ভালো খেলি। সেটা হয়েছে সবার ভেতর বিশ্বাসটা আছে বলেই।’

দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ার পর চাপ তৈরী হয়েছিল কি না? জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, ‘আসলে আমরা কখনোই চাপ নিইনি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য অনেক ভালো। নেপাল কিন্তু প্রথম দিকে অনেক রান করেছে, আমাদের বোলাররা ভালো বোলিং করে ওদের রান কমের মধ্যে আটকে রেখেছে। উইকেট এখানে ওভারপ্রতি চার-পাঁচ রান করে করার মত। ২৭০-২৮০ রানের উইকেট। আমাদের বোলাররা ভালো করে ওদের কমে আটকে রাখতে পেরেছিল। যদিও শুরুতে আমাদের উইকেট পড়ে যাওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমি আর জাকির সেট হওয়ার পর ভালো ব্যাট করেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।’

গ্রুপ পর্বের ম্যাচের মত এ ম্যাচেও দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে জুনিয়রদের ওপেনিং জুটি। এই নিয়ে ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তবে এটা নিয়ে ভাবছেন না অধিনায়ক। তাদের পরিকল্পনাতেই ওপেনিংয়ে রানের পিছে না ছুটে লক্ষ্য ছিল উইকেট বাঁচানো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১০ ওভার দেখে খেলা। উইকেট দেব না। আস্তে আস্তে ক্রিকেট খেলব। আমাদের শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা খুবই ভালো। উইকেট রাখতে পারলে শেষের দিকে অনেক ভালো খেলতে পারি। সেটার প্রমাণ কিন্তু হয়েছে। আমি আর জাকির যখন খেলছিলাম, শেষের দিকে ১০ ওভারে ৭০ রানের মত লাগত, আমরা কিন্তু ১০ বল আগেই ম্যাচ শেষ করেছি। বিশ্বাসটা আমাদের ছিল।’

আরটি/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।