১৯৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ১৭৯টি স্কুল ও ১৫টি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এসএসসি/ সমমানের ফরম পূরণের সময় আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সালমা জাহান গত ২ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত পত্র পাবার পর গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড এই আদেশ জারি করে।
অপরদিকে, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের তালিকায় ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রাম জেলার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম না থাকায় বিষয়টিকে রহস্যজনক বলে মনে করছে বোর্ডের অন্যান্য জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরি এই নির্দেশপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুয়ায়ী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রোববারের মধ্যে এই অর্থ ফেরত দিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবারের মধ্যে প্রমাণপত্র বোর্ডে জমা দিতে হবে।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বোর্ডেে অধীনে আট জেলায় দুই হাজার ৫৬৮টি বিদ্যালয় এসএসসিতে ফরম পূরণ করে। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে এমন ১৭৯টি স্কুল ও ১৫টি মাদ্রাসা চিহিৃত করা হয়।
এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় ৭১টি, লালমনিরহাট জেলায় ৪০টি, গাইবান্ধা জেলায় ৩৫টি, পঞ্চগড় জেলায় ১৮টি, নীলফামারী জেলায় ১৭ এবং রংপুর জেলায় ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদিকে আট জেলার মধ্যে ছয়টি জেলায় অভিযোগ থাকলেও কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলায় কোনো অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান নেই। যা মানতে পারছেন না কোনো জেলার প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, এটা অসম্ভব যে কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলায় কোনো অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান নেই। তিনি এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের দাবি জানান। ওই প্রধান শিক্ষক আরও জানান, তিনি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিপক্ষে। স্কুল কমিটি ও শিক্ষকদের চাপে তার প্রতিষ্ঠানেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। তিনি বোর্ডের নির্দেশনা পেয়েছেন এবং অর্থ ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/এমএস