ঝিনাইদহে কুমড়োর বড়িতে হাজারো নারীর স্বচ্ছলতা
কুমড়োর বড়ি বাংলার মানুষের কাছে এতই জনপ্রিয় যে ঝিনাইদহের হাজারো নারী ও পরিবার এই কুমড়োর বড়ি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করে বাজারজাত করে স্বাবলম্বী হয়েছে। বর্তমানে কর্মব্যস্ত মায়েরা আর আগের মতো নিজের প্রয়োজনে বা আত্মীয়-স্বজনকে দেয়ার জন্য নিজ হাতে বড়ি তৈরি করেন না।
কিন্তু দিনদিন এর চাহিদা বাড়ছে তাই ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে কুমড়োর বড়ি বানানো যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি স্বাবলম্বী হচ্ছে হাজারো নারী ও তাদের পরিবার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকার কিছু মানুষ স্বল্প পুঁজিতে বছরের প্রায় ৩/৪ মাস ধরে বড়ি বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাদের তৈরি এই বড়ি স্থানীয় বাজারসহ ঢাকা এবং খুলনা অঞ্চলে সুনামের সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। বড়ি এখন হাটে বাজারে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হতে দেখা যায়। আর সেখান থেকেই শীতের এই আকর্ষণীয় মুখরোচক কুমড়োর বড়ি কিনে রান্নায় ব্যবহার করছে বাড়ির গৃহিনীরা।
শৈলকুপা উপজেলা গাড়াগঞ্জ গ্রামের বড়ি তৈরির কারিগর রমজান শাহের সঙ্গে কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, আমি দিন মজুর হিসেবে বড়ি তৈরির কাজ শুরু করি। কয়েক বছর আগের কথা। কোনো এক শীতে বাড়ির জন্য তৈরি করা কিছু কুমড়োর বড়ি অভাবের কারণে বাজারে নিয়ে যাই। তা ভালো দামে বিক্রি হয়। তখনই যেন অন্ধকারে আলোর দেখা পাই।
তিনি জানান, বর্তমানে তার চাতালে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২শ` কেজি বড়ি তৈরি হয়। যা তিনি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন। উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি কেজি তার লাভ হয় ১০-১৫ টাকা। বড়ি ব্যবসা লাভজনক হলেও মেঘলা বা ঘন কুয়াশার কারণে বড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে এর কারিগররা অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহে বিভিন্ন গ্রামের হাজারো পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে শুধুমাত্র বড়ি বিক্রি করে।
এমজেড/আরএস