শুরুতেই বাংলাদেশের দুই উইকেটের পতন


প্রকাশিত: ০৫:৫৬ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নামিবিয়ার দেওয়া ৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ফ্রিটজ কোয়েটজির বোলিং তোপে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দুই ওপেনারকে হারিয়ে দারুণভাবে চাপে পড়েছে স্বাগতিকরা।

স্কোরবোর্ডে কোন রান না তুলতেই সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার পিনাক ঘোষ। কোয়েটজির বলে লরেন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার পরের ওভারেই উইকেটরক্ষক জেন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ ওভারে ১৫ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ২ এবং জয়রাজ শেখ ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে নামিবিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে নামিবিয়া। স্পিনারদের ঘূর্ণিতে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তবে নামিবিয়ার বিপর্যয়ে শুরুটা এনে দেন পেসার সাইফুদ্দিন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরান ফর্মে থাকা ওপেনিং ব্যাটসম্যান লফটি-এটনকে।

এক ওভার পরে নিজেদের ভুলে বিপর্যয় আরো বাড়িয়ে তোলে নামিবিয়া। ওভার থ্রো থেকে রান নিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকির হোসেনের সরাসরি থ্রোতে আউট হন জেন গ্রিন। ১০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ওপেনার নিকো ড্যাভিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন লোহান লরেন্স।

১০ ওভার শেষে স্পিনারদের আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ওভার পর থেকেই শুরু হয় তাদের ভেলকি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে মাত্র ৬৫ রানেই গুটিয়ে দেন নামিবিয়াকে। আর নামিবিয়ার উইকেট বৃষ্টিতে একে একে শামিল হলেন সব স্পিনারই। স্পিনারদের হয়ে শুরুটা করেন শাওন গাজী। এরপর মিরাজ, আরিফুল ইসলাম জনি ও সাঈদ সরকার।

নামিবিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন নিকো ড্যাভিন। এছাড়া লোহান লরেন্স করেন ১৭ রান। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া নামিবিয়ার আর কোন ব্যাটসম্যান দুই অংকের কোঠা ছুঁতে পারেননি।

বাংলাদেশের পক্ষে আরিফুল ৯, শাওন ১০ এবং মিরাজ ১২ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট পান। এছাড়া সাঈদ ও সাইফুদ্দিন ১টি উইকেট নেন।

আরটি/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।