২ মাসেও আটক হননি এএসআই রফিক


প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

বিতর্কিত যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সোনার বার আত্মসাতকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রফিককে প্রায় দুই মাসেও পুলিশ প্রশাসন খুঁজে না পাওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এএসআই রফিক গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম এবং আলোচিত সোনা পাচারের সীমান্ত পথ রঘুনাথপুর থেকে রেজাউল নামে এক সোনা বহনকারীকে আটক করে থানা হাজতে রেখে ১৩ পিস সোনার বার এবং সরকারি পিস্তল নিয়ে নাটকীয়ভাবে পালিয়ে যান।

সোনার বারসহ সরকারি অস্ত্র নিয়ে পালানো এএসআই রফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দেশের কোনো থানায় যোগদান করে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন কি না, এ ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত আছেন কি না তা নিয়েও নানা গুঞ্জণ উঠেছে বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকায়।

পুলিশ জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার এএসআই রফিক বেনাপোল সীমান্তের রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে থেকে বিপুল পরিমাণ সোনার বারসহ ওই গ্রামের সাইদুর মল্লিকের ছেলে রেজাউল ইসলামকে (২৮) আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। রফিকের সোনা আটকের ঘটনার পর বিপাকে পড়ে তিনি নিজেই। ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা রফিকের এই অভিযানের দায় নিতে চাননি। কারণ, সোনা উদ্ধারের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অনেকে বলেন সোনা ছিল ১৭ কেজি। রফিক দাবি করেন ১৩টি সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। যা কেউ বিশ্বাস করেননি।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এএসআই রফিক থানায় আসামি রেখে আসছি বলে সোনার বার ও সরকারি অস্ত্র নিয়ে চম্পট দেন।
এদিকে, এএসআই রফিকুল ইসলাম রফিকের আটক সোনা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শামীম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। একটি মামলা পোর্ট থানা এবং অন্যটি দুদক তদন্ত করছে বলে জানা যায়।

পোর্ট থানায় দায়ের করা মামলাটি ওসি অপূর্ব হাসান নিজেই তদন্ত করছেন। এদিকে, এএসআই রফিককে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলা হলেও পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি আত্মসাত করা স্বর্ণের বারসহ এএসআই রফিকের নামে বরাদ্দ করা সরকারি অস্ত্রটিও।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে তিনি চাকরি করবেন না বলে আসছিলেন। আটক রেজাউলের কাছ থেকে ১৩টি সোনার বার নিয়ে এএসআই রফিক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আটকের চেষ্টা চলছে। রফিকের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি অস্ত্রটি তার ড্রয়ারে আছে কিনা সেটি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এএসআই রফিকুল ইসলাম রফিকের ড্রয়ার ভাঙার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার ড্রয়ারটি ভাঙা হবে।

মো. জামাল হোসেন/এমজেড

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।