ড. কাজী খলীকুজ্জমানকে সমৃদ্ধি-বন্ধু ঘোষণা
সাম্যতার অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদকে ‘সমৃদ্ধি-বন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছে বেসরকারি সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেসন অব দি রুরাল পূয়র-ডর্প।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেওড়াপাড়াস্থ ডর্প কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ উপাধি সম্বলিত একটি সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন র্ডপ’র প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান।
ডর্প-এর ৪র্থ পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০১৬-২০ বিষয়ক এ কর্মশালা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কাজী রোজি ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জাহেদা আহমদ, ডর্প`র সভাপতি মো. আজহার আলী তালুকদার, একেএম জসীম উদ্দিন এফসিএমএ, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের নির্বাহী প্রধান ড. এম এহসানুর রহমান, বাংলাদেশ ওয়াশ অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার, ডর্প নির্বাহী পরিষদের সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সদস্য সামছুন নাহার, ডর্প-এর গবেষণা প্রধান মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণ দেশের মাত্র নয় ভাগ মানুষের কাছে পৌঁছেছে। ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র বিমোচনে সম্পূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে না। ‘দারিদ্রকে যাদুঘরে’ পাঠাতে হবে বললেই হবে না, তার জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পিকেএসএফ আগের থেকে এখন আরো অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। ক্ষুদ্রঋণ না বলে, ‘যথোপযুক্ত ঋণ’র পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নে পিকেএসএফ ১৫০টি ইউনিয়নে ‘সমৃদ্ধি’ কেন্দ্র স্থাপন করে কাজ শুরু করেছে।
ড. শামসুল আলম বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনকে লক্ষ্য ঠিক করে সরকার বিভিন্ন কৌশল পরিকল্পনা তৈরি করছে এবং তা বাস্তবায়নও করছে। ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তেমনিভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে বড় একটি ভূমিকা রাখবে। সব ধরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জন অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সরকারি বেসরকারি উদ্যেগেই একদিন সামগ্রিক দারিদ্র্যমুক্ত একটি বাংলাদেশ রচিত হবে।
অনুষ্ঠানে এএইচএম নোমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারকে পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হবে। সরকার সামজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ডর্প প্রবর্তীত ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ও ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচি দুটি এক প্রজন্ম ২০ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশকে সম্পূর্ণরুপে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব।
এমইউ/একে/আরআইপি