সংবর্ধনা পেলেন ১০ গুণীজন (ছবিতে দেখুন)
যাত্রার ৬০ বছর পার করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্প। একইসঙ্গে ৬০ বছর পূর্তি হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থারও। এ উপলক্ষে সংগঠনটি আয়োজন করে বর্ণিল এক অনুষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় এফডিসির জহির রায়হান কালারল্যাব অডিটরিয়ামে সেটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক নায়ক রাজ রাজ্জাক, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাকিব খান, নির্মাতা আমজাদ হোসেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরসহ প্রবীণ-নবীন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে দেশের ১০ গুণী ব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে সংবর্ধনা পেয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রেজা লতিফ।
রাজ্জাকের পাশাপাশি ‘তোমাদের কর্ম রবে চিরদিন’ শিরোনামে এই সংবর্ধনা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন প্রবীণ প্রযোজক ইফতেখারুল আলম, আবদুল মহিত, এ কে এম জাহাঙ্গীর খান, প্রবীণ চিত্রগ্রাহক আফজাল এইচ চৌধুরী, পরিচালক আমজাদ হোসেন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, ড. মাহফুজুর রহমান ও শাকিব খান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নায়ক রাজরাজ্জাক বলেন, `চলচ্চিত্র শিল্পের এই ক্রান্তিকালে চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা দেশের গুণী শিল্পী ও মানুষদের পুরস্কৃত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।`
তিনি আরো বলেন, `চলচ্চিত্রের স্বার্থে আমাকে যেকোন ভালো কাজে ডাকা হলে আমি আবারো প্রয়োজনে চলচ্চিত্রের জন্য রাস্তায় এসে দাঁড়াবো। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি চলচ্চত্রের সাথে থাকবো।`
রাজ্জাক আশা প্রকাশ করে আরো বলেন, `আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গণে যে সমস্যাগুলো বিরাজ করছে সরকারের পাশাপাশি সকলেও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্রে আবারো সোনালী দিন ফিরে আসবে এবং বাংলা চলচ্চিত্র আবারো তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে সেই প্রত্যাশাই রইলো।`
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, `আমাদের চলচ্চিত্র আজ ধ্বংসের মুখে। এর জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তিরাই দায়ী। তাছাড়া ছবি নির্মাণের পর সেটি প্রেক্ষাগৃহ সংকটের জন্য লোকসানের মুখে পড়তে হয় যার জন্য বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারাচ্ছে। সরকার যদি এ দিকে নজর না দেয় তবে কয়েক বছর পর এ দেশে চলচ্চিত্র বলে কিছু থাকবে না।`
চলচ্চিত্র গ্রাহক সমিতির সভাপতি রেজা লতিফ বলেন, ‘চলচ্চিত্রের ৬০ বছরে অনেক গুণী মানুষের শ্রম, মেধা জড়িয়ে আছে। অসংখ্য মানুষের অবদান নিয়েই আজকের ইন্ড্রাস্ট্রি তৈরি হয়েছে। সেইসব মানুষদের সম্মান জানানোর ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস করেছি আমরা। আমাদের এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
এনই/এসকেডি/এমএস