মহাসড়কে চলছে নিষিদ্ধ সিএনজি : লেগুনায় বাধা


প্রকাশিত: ০৪:২১ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে দাবড়ে বেড়াচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কে এসব সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, লেগুনা চলাচলে পুলিশ ও বাস মালিকরা বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে যাত্রীরা বলছেন, বাসের পাশাপাশি মহাসড়কে লেগুনা চললে তাদের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে।

জানা যায়, সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ যে কয়েকটি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে তার মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অন্যতম। মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা জারির পর মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার চলাচল কিছুটা বন্ধ হওয়ার কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে দুর্ঘটনার হার অনেকটাই কমে আসে। তবে অটোরিকশার চলাচল বন্ধের ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগও কিছুটা বেড়ে যায়। কেননা, অটোরিকশা না চলায় পরিবহন সংকট দেখা দেয়। পরবর্তীতে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লক্কড় ঝক্কড় বাস নামিয়ে দেয়া হয়। এখন আবার হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কের চলাচল করছে সিএনজি অটোরিকশা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক জাগো নিউজকে জানান, মহাসড়কের চলাচলের জন্য প্রতিটি অটোরিকশা থেকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে হাইওয়ে পুলিশকে দিতে হয়। টাকা না দিলে অটোরিকশা ধরে মামলা দিয়ে দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পুলিশকে টাকা দিয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চালাতে হচ্ছে।

B-Barea

এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে চালাচলের জন্য সম্প্রতি কিছু লেগুনা নামায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। কিন্তু এতে বাধ সাধেন হাইওয়ে পুলিশ ও লোকাল বাস মালিকরা। বাস মালিকরা বলছেন মহাসড়কে লেগুনা চললে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে। এ অবস্থায় গত বুধবার দুপুরে লেগুনা শ্রমিকরা বিশ্বরোড মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিটিসিএলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিজিএম) কামরুজ্জামান কাজল জাগো নিউজকে জানান, সরকারের অনুমতি নিয়েই মহাসড়কে লেগুনা নামিয়েছি। কিন্তু বাস মালিক ও হাইওয়ে পুলিশ এতে অন্যায়ভাবে বাধা দিচ্ছেন। লেগুনা চলাচল করলে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিয়ামত খান জাগো নিউজকে জানান, মহাসড়কে লেগুনা চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কোনো অবস্থাতে মহাসড়কে লেগুনা চলতে দেয়া যাবে না। যদি লেগুনা চলতে দেয়া হয় তাহলে আমরা আন্দোলনে নামবো।

তবে টাকার বিনিময়ে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আলমগীর কবির সিদ্দিকী জাগো নিউজকে জানান, আমরা নিয়মিত মহাসড়কে অভিযান চালাচ্ছি। অভিযানে সিএনজি অটোরিকশা আটক করে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া মহাসড়কে লেগুনা চলাচলে কোনো অনুমতি নেই। যদি লেগুনা মালিকরা অনুমতি নিয়ে আসতে পারেন তাহলে লেগুনা চলতে দেয়া হবে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।