রেকর্ড গড়লেন ইয়ং টাইগার শান্ত
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যটিং স্তম্ভ বলা হচ্ছে তাকে। নাজমুল হোসেন শান্ত। নামে শান্ত হলেও, ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে রীতিমত আতঙ্কের নাম। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও তিনি প্রমাণ দিয়েছেন নিজের ব্যাটিং প্রতিভার। দলের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছেন তিনি। ৮২ বলে ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার সাহায্যে করেন সর্বোচ্চ ৭৩ রান।
নাজমুলের ব্যাটেই ২৪০ রানের লড়াকু স্কোর পেয়ে যায় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল এবং শেষ পর্যন্ত বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণের মুখে ১৯৭ রানেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের জয় এলো ৪৩ রানের ব্যবধানে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচ সেরার ট্রফিও ওঠে শান্তর হাতে।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্ত পৌঁছে গেছেন নতুন এক মাইলফলকে। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৬০০ রানের মাইলফলক পার করলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৫৬১ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ১৬০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছাতে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রানের। সেটা পার হনইনি শুধু, চলে গেলেন আরও ওপরে। তার নামের পাশে এখন শোভা পাচ্ছে ১৬৩৪ রান। ৮৯.০২ স্ট্রাইক রেটে যুব ওয়ানডে ক্রিকেটে ১২তম হাফ সেঞ্চুরি করেন শান্ত।
শুধুমাত্র প্রথম বাংলাদেশী হিসেবেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেও শান্ত হচ্ছেন দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান যিনি ইয়থ ওডিআইতে ১৬০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন। তার সামনে রয়েছেন শুধুমাত্র পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সামি আসলাম। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যানের রান মোট ১৬৯৫। আর মাত্র ৬২ রান করতে পারলেই সামি আসলামকে ছুঁয়ে ফেলবেন শান্ত। এই বিশ্বকাপেই সেই গৌরব সৃষ্টি করতে পারবেন তিনি, এটা বলাই যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ের পর শান্ত বলেন, ‘সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাবো সর্বশক্তিমান আল্লাহকে। আসলে এটা ছিল খুবই কঠিন কন্ডিশন। উইকেট খুব স্লো। এ কারণে, আমাকে বার বার স্ট্রাইক পরিবর্তণ করতে হয়েছে। আমি বলগুলো নিয়ে কাজ করেছি। দেখে-শুনে শট খেলেছি এবং শেষ পর্যন্ত ভালো করার চেষ্টা করেছি।’
আইএইচএস