পরিছন্নতার প্রচারাভিযানে অপরিচ্ছন্ন শহীদ মিনার!
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ঘোষিত ক্লিন সিটি ২০১৬ এর দশম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রচারাভিযান অনুষ্ঠান চলাকালেই অপরিচ্ছন্ন হলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন! বুধবার সকাল ১১টা থেকেই সাজেদা ফাউন্ডেশন, নারী মৈত্রী, অপরাজেয় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন এনজিওর নেতা-কর্মী ছাড়াও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, একাধিক ওয়ার্ড কমিশনার শীর্ষ কর্তাকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন।
সাড়ে ১১টার মধ্যে মেয়রের আসার কথা থাকলেও একটু বিলম্বের কারণে ওয়ার্ড কমিশনাররা শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে মেয়রের সদিচ্ছার গুণগান গেয়ে বক্তৃতা দিতে থাকেন।
এ সময় উপস্থিত অনেককেই একাধিক ফেরীওয়ালার কাছ থেকে বাদাম, বুট, চা, সিগারেটসহ কিনে খেতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলটিতে ময়লা জমে যায়। ডিসিসির শীর্ষ একাধিক কর্মকর্তাকেও বেশ আয়েশে বাদাম খেতে দেখা যায়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অদূরে আনন্দবাজারের বাসিন্দা শাহিদা, পারুল ও নুপুরসহ কয়েকজন মহিলা নারী মৈত্রীর ব্যানার হাতে মেয়রের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ময়লা ডাস্টবিনে ফেলুন ব্যানার হাতে নিয়ে দাঁড়ালেও তারা বাদাম খেয়ে খোসাগুলো নিচে ফেলছিলেন।
এ প্রতিবেদক ময়লা এখানে ফেলছেন কেন? জিজ্ঞেস করলে তারা লজ্জা পেয়ে বলেন, ‘পুরান অভ্যাসতো, ভুল হইয়া গেছে।’
পরে দুপুর ১২টায় মেয়র হানিফ আসলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও র্যালি শুরু হয়।
এদিকে ডিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জানান, মেয়র ঘোষিত ক্লিন সিটি ২০১৬ প্রচারাভিযানে চলতি মাসে মোট ১০টি পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শাখারিবাজার প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয়। ক্রিকেটার মাশরাফি সেদিন উপস্থিত থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
পরবর্তীতে রাজধানী সুপার মার্কেট, মতিঝিল, খিলগাঁও, হাইকোর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লালবাগ ও বিআরটিসি বাস ডিপোতে অভিযান চলে। অভিযানগুলো পরিচালনার ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি