চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা যুবাদের


প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দলটিকেই ৪৩ রানে হারিয়ে যুবাদের বিশ্বকাপে অসাধারণ সূচনা করলো বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ দল। শুধু স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা নিয়েই যে জিতলো বাংলাদেশ, এমন নয়। ব্যাটে-বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয় তুলে নিল মেহেদী হাসান মিরাজরা। সে সঙ্গে এই বিশ্বকাপে যে বাংলাদেশের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা, তারও শুভ সূচনা হয়ে গেলো যুবাদের।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের করা ৭ উইকেটে ২৪০ রানের জবাবে ৪৮.৪ ওভারে ১৯৭ রানেই অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে উড়ে গেল প্রোটিয়ারা। দু’জনই নিলেন ৩টি করে উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাঈদ সরকার এবং সালেহ আহমেদ শাওন।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২৪০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাইফুদ্দিনের তোপের মুখে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। এক প্রান্তে অবশ্য উইকেট আগলে দাঁড়িয়ে থাকেন লিয়াম স্মিথ। অপরপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে মাত্র ৬০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দাইয়ান গ্যালিয়েম স্মিথের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতেও ভাঙন ধরান সাঈদ সরকার। ৩৬ বলে ২২ রান করে এ সময় আউট হয়ে যান গ্যালিয়েম।

এরপর ফারহান সায়ানভালার সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন স্মিথ। এই জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৭ রান করে আউট হন সায়ানভালা। দলীয় ১৭৭ রানে সপ্তম উইকেট হিসেবে আউট হন লিয়াম স্মিথ। সালেহ আহমেদ সাওনের বলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেঞ্চুরি করার পরই তাই বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না স্মিথ। আউট হয়ে গেলেন অবিশ্বাস্যভাবে।

এরপর অবশ্য জয়ের জন্য চিন্তা করতে হয়নি বাংলাদেশের যুবাদের। ৪৮.৪ ওভারেই ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। ৪৩ রানের অসাধারণ জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশের যুবারা।

U-19
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সাঈফ হাসান এবিং পিনাক ঘোষের শুরুটা ছিল মন্থর গতির। তবুও, প্রায় ১০ ওভার খেলেছে এই জুটি। রান তুলেছে ৩০। ৩১ বল খেলে মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান সাঈফ হাসান। পিনাক ঘোষ ৫১ বলে আউট হন ৪৩ রান করে। জয়রাজ শেখ ৫০ বলে করেন ৪৬ রান।

৮২ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৩ রান। জাকির হোসেন করেন ১৯ রান এবং ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাঈফুদ্দিন।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।