পরিত্যক্ত জায়গায় সরকারি আবাসন


প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর আওতাধীন যেসব পরিত্যক্ত সম্পত্তি রয়েছে, সেসব জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাজউক নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিত্যক্ত জায়গায় সরকারিভাবে ফ্ল্যাট নির্মাণ করলে দুর্নীতিবাজরা জায়গাগুলো দখল করতে পারবে না। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সঠিকভাবে প্ল্যান করলেও তা ঠিকঠাক প্রয়োগ হচ্ছে না। প্রতিটি বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে প্ল্যান ঠিকমতো প্রয়োগ হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে রাজউক তো ফিতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, রাজউক অফিসারদের এ সব বিষয়ে ভালভাবে নজর রাখা দরকার ছিল। জনবল কম হলেও আমাদের (রাজউক) অথরাইজড অফিসার আছেন, তাদের সেগুলো দেখা দরকার ছিল।

রাজউকে প্লট পরিবর্তনের সঙ্গে এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা পরিবর্তন করেছি। বহু এমপি-মন্ত্রী আমার কাছে আসেন তাদের জন্য বরাদ্দ করা প্লট পরিবর্তনের জন্য। আমি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেই যে তা করা যাবে না।

গণশুনানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। এ সময় দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন ও নাসিরউদ্দীন আহমেদ, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, রাজউক চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, দুদক মহাপরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও মো. শামসুল আরেফিন, দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মো. নাসিম আনোয়ারসহ কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।