মাগুরায় সিসি ক্যামেরায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমন


প্রকাশিত: ০৪:১২ এএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত জেলা মাগুরার বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ। ইতোমধ্যে সুফলও মিলেছে অনেক। এসব ক্যামেরা স্থাপনের ফলে মাদক, চোরাকারবারি, ছিনতাইকারী, নারী ও শিশু পাচারকারীসহ সন্দেহভাজন গাড়ি ও রাস্তায় চাঁদাবাজদের হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

গত দুই মাসে (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) শুধু মাদক আইনে মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে ২শ বেশি। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, আগ্নেয়াস্ত্র, পাচার হওয়া শিশু ও নারী, চোরাই মোটরসাইলেকসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এসব বিষয়েও মামালা হয়েছে প্রায় শতাধিক যা মাগুরার ইতিহাসে গত ২০ বছরেও হয়নি।

মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু জাগো নিউজকে বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এসব সিসি ক্যামেরা। যে সব রাজনৈতিক দল রাজনীতির নামে ভোরে মহাসড়কে পিকেটিংসহ পেট্রলবোমা ছুড়ে সাধারণ মানুষকে হত্যার খেলায় মেতে ওঠেন তাদেরও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারছে মাগুরা পুলিশ। ফলে মহাসড়কসহ গোটা মাগুরায় কমে গেছে রাজনৈতিক সহিংসতা। ভয়কে জয় করে মানুষের মনে জন্ম নিয়েছে সাহস।

মাগুরা জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া জাগো নিউজকে জানান,  শহরের গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট, বিপণী বিতান, স্কুল-কলেজ, স্বর্ণ পোট্টিসহ তেল পাম্প মালিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (একেএম এহসান উল্লাহ)। তিনি তাদের সার্বিক সহযোগী দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয়ায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছেন ব্যবসায়ীরা।

মাগুরা সরকারি কলেজের একাদশ বর্ষের ছাত্রী সুমি আক্তার জাগো নিউজকে জানান, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কলেজে বখাটে ছেলেদের দৌরাত্ম্য কমে গেছে। হ্রাস পেয়েছে ইভটিজিং এর মতো সামাজিক ব্যাধি। ফলে মেয়েরা এখন স্কুল কলেজে নির্ভয়ে যেতে পারছে।

গাড়ি চালক সুমায়ুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধেও কাজ করছে এসব ক্যামেরা। অধিকাংশ গাড়ি চালকেরা এখন কিছু নির্দিষ্ট এলাকা দিয়ে সচেতনতার সঙ্গে গাড়ি চালাচ্ছেন। মামলা মোকদ্দামা এড়াতে চালকদের সচেতন করেছে এসব ক্যামেরা। এছাড়া দুর্ঘটনার সঠিক কারণও অনুসন্ধান করতে পারছে পুলিশ।

এ বিষয়ে মাগুরার পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম এহসান উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিং কমে গেছে। এছাড়া এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কম মানুষই এখন থানায় নিয়ে আসছেন।

আরাফাত হোসেন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।