ময়মনসিংহে সুইমিংপুল আছে, নেই কোনও সাঁতার দল
অডিও শুনুন
খাল-বিল, নদী-নালার দেশে ভালোমানের সাঁতারু বের করে আনার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহর এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জেলায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে সুইমিংপুল। যে সব সাঁতারুরা শুধুমাত্র এসএ গেমস নয়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে এশিয়ান গেমস, এমনকি অলিম্পিক গেমসেও।
শুধু সাঁতারু বের করে আনাই নয়, বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে খেলোয়াড়দের শরীরচর্চার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবেও খুব প্রয়োজন সাঁতার। সাধারণ মানুষের সাঁতার শেখাটাও জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয়।
সবকিছুকে সামনে রেখে সারা দেশে অন্তত ২৩টি সুইমিংপুল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর অধিকাংশ পুলই পড়ে রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। কোনো কোনো পুলে তো একদিনের জন্যও কেউ নামতে পারেনি। কোথাও পানি নেই, কোথাও পাম্প নষ্ট, কোথাও নোংরা পানি- নানা অব্যবস্থায় পড়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সুইমিংপুলগুলো।
অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত এসব সুইমিংপুল নিয়েই জাগোনিউজের ধারাবাহিক আয়োজন। ৭ম পর্বে আজ থাকছে ময়মনসিংহ সুইমিং কমপ্লেক্সের চালচিত্র...
* ২০০১ সালে সুইমিং কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হলেও ২০০৪ সালে উদ্বোধন করা হয়।
* ২০০৯ সাল থেকে এখানে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখানো শুরু হয়।
* সুইমিং কমপ্লেক্স আছে, সকল সুযোগ-সুবিধা আছে, নিয়মিত সাঁতার শেখানোও হয়, কিন্তু কোনো সাঁতার দল নেই।
* সাঁতার শিখতে জনপ্রতি ভর্তি ফি ২৫০০ টাকা ও মাসিক বেতন ৫০০ টাকা।
সুইমিংপুলে ২০ থেকে ২৫ জন শিশু-কিশোর। কেউ সাঁতার কাটছে, আবার কেউ শেখার চেষ্টা করছে। একজন কোচ তাদেরকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন- কিভাবে সাঁতার শিখতে হবে। অভিবাবকরাও পুলের চারপাশে বসে সন্তানের সাঁতার শেখা দেখছেন।
নিয়মিত সুইমিংপুলে প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও, ময়মনসিংহে নেই কোন সাঁতার দল। এভাবেই ১৩ বছর প্রথম শ্রেণির চাকরিজীবি, ঠিকাদার, রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ীর ছেলে-মেয়েদের মাসিক বেতনে সাঁতার শেখানো হচ্ছে ময়মনসিংহ সুইমিংপুলে। বছরে দু‘একটা প্রতিযোগিতা হলেও, সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এমন চিত্রই দেখা গেলো, ময়মনসিংহ সুইমিং কমপ্লেক্সে। নগরীর টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সুইমিং কমপ্লেক্স। এর আয়তন ৫০ মিটার লম্বা ও ২৫ মিটার প্রস্থ। নিয়মিত একজন পিয়ন এটি দেখাশুনা করেন।
সকাল-বিকাল, দিনে মোট দুই ঘণ্টা এখানে শিশু-কিশোরদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পুলের জন্য কোনো গ্যালারি বা শেড নির্মাণ করা হয়নি। একটিমাত্র সাবমার্সিবল পাম্প দিয়ে চলছে এই সুইমিংপুল।
মাসে একবার পানি পরিবর্তন করা হয়। প্রতিবার পানি পরিবর্তন করতে সময় লাগে ৩৬ থেকে ৪০ ঘণ্টা। পানি পরিষ্কার রাখার জন্য নেই সাকার মেশিন। সাঁতার শিখাতে আসা শিক্ষার্থীদের অভিবাবকরা সুইমিংপুলের শেড কিংবা গ্যালারি এবং পানি পরিষ্কার রাখার জন্য সাকার মেশিন বসানোর দাবি করেন।
২০০১ সালে সুইমিং কমপ্লেক্সটি স্থাপিত হলেও ২০০৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। এরপর ২০০৯ সাল থেকে এখানে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখানো হয়। যখন কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, তখন প্রয়োজনে কিছু ছেলে-মেয়েকে ডেকে এনে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সাঁতার অনুশীলন করানো হয়। প্রতিযোগীতা শেষ হলে তাদের আর কোন খোঁজ-খবর রাখে না সংশ্লিষ্টদের কেউ।
সুত্র জানায়, ২০০৯ সাল থেকে মাসিক টাকার বিনিময়ে এখানে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখানো শুরু হয়। শুরুর দিকে জনপ্রতি ভর্তি ফি ৫০০ টাকা ও মাসিক বেতন ছিল ২০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে জনপ্রতি ভর্তি ফি ২৬০০ টাকা ও মাসিক বেতন ৫০০ টাকা।
যদিও সরকারি সুইমিংপুলে টাকার বিনিময়ে সন্তানদের সাঁতার শেখাতে আসা অভিবাবকদের নেই কোন অভিযোগ। এখানে যেভাবে ছেলে-মেয়েরা সাঁতার শিখতে পারছে, অন্য কোথায় হয়তো এমন সুযোগ নেই, এ কারণেই তারা খুশি।
সন্তানকে সাঁতার শেখাতে আসা ঠিকাদার বিমল বর্মণের স্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে এখান থেকে আমার এক ছেলে সাঁতার শিখে গেছে। এখন নিয়মিত মেয়েকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে আসছি। অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। কোনো কোনো সময় আবার নদী পথেও ঘুরতে যাওয়া হয়। তখন যদি কোন বিপদ আসে! তাই, ছেলে-মেয়েদের সাঁতার শিখাচ্ছি। যেন নিজের জীবন বাঁচাতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সুইমিংপুল এবং এখানে শেখার সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও যদি জেলায় কোন সাঁতার দল না থাকে, তাহলে এটা দুঃখজনক। যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা কাজে লাগিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে পারলেও তো দেশের জন্য ভালো হবে। তবে, আমি মনে করি এই সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে জেলায় ভাল একটা সাঁতার দল গড়ে উঠুক। যারা ময়মনসিংহ এমনকি দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।’
পুবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মৌসুমী খানম বলেন, ‘চাকরি করার সুবাদে শহরে থাকতে হয়। গ্রামে থাকলে হয়তো বাড়ির পুকুরে ছেলে-মেয়েকে সাঁতার শেখানো যেতো; কিন্তু, শহরে তো এই সুবিধা নেই। যেহেতু, এখানে একটি সুইমিংপুল আছে। তাই, আমার দুই সন্তানকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে আসি। তাছাড়া, একজন মানুষের জন্য সাঁতার শেখাটা প্রয়োজনীয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সাঁতার শিখাতে ভর্তি ফি ২০০০ টাকা ও এক মাসের ৫০০ টাকা অগ্রিমসহ ২ হাজার ৫০০ টাকায় ভর্তি করিয়েছি। তবে, টাকা নেয়ার বিষয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। কারণ, ছেলে-মেয়েদের সাঁতার শেখানো অভিভাবক হিসাবে আমার দায়িত্ব। আমি সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার সন্তানকে নিয়ে সাঁতার শেখাতে আসি। এভাবে দুই মাস হলো এখানে আসি। এখানে কোচ আছে, তিনি খুব ভাল করে ছেলে-মেয়েদের সাঁতার শেখান। আমার সন্তানরা এখন মোটামোটি সাঁতার কাটতে পারে।’
ঢাকায় বাইং হাউজে চাকরি করেন খালেদ আব্দুল্লাহ। দুই সন্তানকে সাঁতার শেখাতে নিয়ে এসেছেন এই সুইমিং কমপ্লেক্সে। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, ময়মনসিংহে ছেলে-মেয়েদের সাঁতার শেখানোর সুযোগ আছে। যা অন্য কোথাও নেই। এতে কিছু টাকা খরচ হলেও ছেলে-মেয়েরা একজন কোচের মাধ্যমে এখানে সাঁতার শিখতে পারছেন। যা আমাদের জন্য খুব ভাল হয়েছে এবং ছেলে-মেয়েরাও খুব সহজে সাঁতার শিখতে পারছে।’
সাঁতারু তামজিদ সামাদ এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সাঁতার প্রতিযোগীয়তায় অংশ নিয়েছেন। সে ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরি স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। তামজিদ বলেন, ‘আমার বাবা একজন সাঁতারু। তাই, সাঁতারের প্রতি আগ্রহ থেকেই আমি বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগীয় অংশ নিয়েছি। আমাদের ভাল একটা সুইমিংপুল আছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উধাসীন। বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগিতার সময় প্রয়োজনে আমাদের কয়েকদিন অনুশীলন করায়। খেলা শেষ হওয়ার পর আর কেউ খোঁজ রাখে না।’
তিনি বলেন, ‘একজন সাঁতারু নিয়মিত অনুশীলন করলে সুইমিং ড্রেস প্রয়োজন হয়। যেমন সুইমিং ক্যাপ, সুইমিং গ্লাভস, টি শার্ট, শর্ট প্যান্ট প্রয়োজন হয়। এগুলোর ব্যবস্থা করা। অনুশলিনের পর নিয়মিত ডায়েট ও যাতাযাত ভাতা দিলে আমি নিয়মিত প্র্যাক্টিস করব। আমাকে দেখে অন্যরাও সাঁতারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তবেই, আমাদের একটি সাঁতারু দল গঠন করা সম্ভব।
মুকুল নিকেতন স্কুলের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাহাত দেওয়ান হৃদয় বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে আমি খেলায় অংশগ্রহণ করেছি। তবে, খেলা শেষ হলে পরে আর কেউ খবর নেয় না। নিয়মিত অনুশীলনের ব্যবস্থা করলে আমরাও ভাল কিছু করতে পারব। জেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে গিয়ে খেলার সামর্থ্য আমাদেরও আছে। তবে,আমাদের সার্পোট দেয়ার কেউ নেই। সাপোর্ট দিলে জাতীয় পর্যায়ে এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার স্বপ্নও আমি দেখি।’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাঁতার প্রশিক্ষক মো. আব্দুস সামাদ কাজল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই সুইমিংপুলের যাত্রা শুরু হয় আমার হাত ধরে। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শুধু মাত্র টিএডিএ'র বিনিময়ে কাজ করে আসছি। বাবা মৃত্যুর সময় বলেছিলেন, আমি যেন এই সুইমিংপুল না ছাড়ি। তাই, এখনো এখানে সাঁতার প্রশিক্ষণ করিয়ে আসছি। বাবার রেখে যাওয়া বাড়ি ভাড়ার টাকায় টেনেটুনে সংসার চলে। এই চাকরি স্থায়ী হবে আশায় ১৩ বছর অস্থায়ী কাজ করে আসছি। তবে, করোনার সময় বন্ধ ছিল৷ তখন ওই টিএডিএ'র টাকাও পাইনি। ওই সময় আশ্বাস দিয়েছিল করোনার পরে চাকরি নিয়মিত করবে। তবে, এখনো হয়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি জুন-জুলাইয়ে হতে পারে।’
জেলা পর্যায়ে একটি সাঁতার দল টিম তৈরির যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে, জেলা ক্রীড়া সংস্থা সেই প্রক্রিয়াগুলোর জন্য অনুমতি দেয় না। দল তৈরি করতে হলে অবশ্যই জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগ নিতে হবে। তারপর আমাকে বলতে হবে। তখন আমি বেশ কয়েকজনকে সুইমিং উপযোগী করে তৈরি করতে পারব। যারা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।’
‘এছাড়া, দল তৈরি করতে হলে ছেলে-মেয়েদের পিছনে ইনভেস্ট করতে হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা ইনভেস্ট করলেই ছেলে মেয়েরা নিয়মিত প্র্যাক্টিস করবে। তাহলেই কেবল তাদের সাতারু হিসাবে তৈরী করতে পারব। এইটা মুলত ইচ্ছা থাকতে হবে। ময়মনসিংহে অনেক প্রতিভাবান ছেলে মেয়ে আছে। আমাদের অনেক ভাল একটা সুইমিংপুল আছে। তবে, কাজে লাগাতে পারছি না। সুযোগ সু্বিধা কাজে লাগাতে পারলেই আমলা শক্তিশালী একটি সাঁতার দল তৈরি করতে পারব।’
সুইমিংপুলকে কী বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কথাটা এভাবে না বলে, বলতে পারেন টাকার বিনিময়ে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এটাকে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলা যায়। জেলা ক্রীড়া সংস্থা চাইলেই ভাল সাতাঁরু তৈরি করা সম্ভব। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভাল সাঁতারু তৈরি করা সম্ভব। তবে, এখানে যারা সাঁতার শিখতে আসে তারা সবাই ১৫ থেকে ২০দিন প্রশিক্ষণ নিয়ে সাঁতার শিখে চলে যায়।
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, ‘সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু জুনিয়র সাঁতার প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ থেকে অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়াও নেত্রকোনা থেকেও তিনজন অংশগ্রহণ করেছিল। ওরা সবাই মোটামোটি খেলেছে। তবে, সুইমিংপুল জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে। তাই, সুইমিংপুলের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘আনুমানিক পাঁচ মাস হয়েছে আমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। আগে সুইমিংপুলের অবস্থা খারাপ ছিল। এখানে নিয়মিত একজন কোচ দিয়ে শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখানো হয়। তবে, আমাদের পরিকল্পনা আছে। আগামী কয়েক মাসের মাঝে স্কুল থেকে এইচএসসি পর্যন্ত বয়স ভিত্তিত সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করব। সেখান যারা ভাল করবে, তাদের নিয়ে একটি দল গঠন করে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানোর পরিকল্পনা আমাদের আছে।
সাঁতার শিখানোর ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন কী সরকার নির্ধারিত? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সরকার নির্ধারিত। দু'জন লোক কাজ করে, প্রতি মাসে পানি পাল্টাতে হয়, বিদ্যুৎ বিল আছে। এই টাকা দিয়েই প্রতি মাসের খরচ মেটানো হয়। তবে, আমি আসার পর কোন ফি বাড়াইনি।’
এ বিষয় জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের একটি সাঁতার দল গঠন করা হবে। যারা জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করতে পারবে।’
মঞ্জুরুল ইসলাম/আইএইচএস/