‘ইয়েস কার্ড’ পেলেন শেরপুরের মেয়ে জোনাকি ও কণা
আগামী দিনের মাশরাফি-মোস্তাফিজ, পান্না-সালমার দেখা পেতে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ প্রতিযোগিতা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফাস্ট বোলার হান্টে বাজিমাত করেছে শেরপুরের দুই কন্যা আলেয়া আক্তার কণা এবং হাবিবা আক্তার জোনাকি।
শনিবার ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত ফাস্ট বোলার হান্টের গতি পরীক্ষায় বেশ সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা এ দুই কন্যা।
কণা ও জোনাকির প্রশিক্ষক মোখলেসুর রহমান স্বপন জানিয়েছেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৯৮১ জন প্রতিযোগী ফাস্ট বোলারদের গতি যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে মেয়েদের বিভাগে ফাস্ট বোলিং প্রতিযোগিতায় হাবিবা আক্তার জোনাকি ঘন্টায় ৮৭, ৮৫ এবং ৮৪ কিলোমিটার গতিতে বল ছুঁড়ে এবং হাবিবা আক্তার কণা ঘন্টায় ৮৪ এবং ৮৬ কিলোমিটার গতিতে বল ছুঁড়ে ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়ে যান।
এছাড়াও ময়মনসিংহের আরেক মেয়ে তাহমিনা আক্তার টুকটুকি প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে ইয়েস কার্ড পান। এদের তিনজনকে ঢাকায় প্রশিক্ষন ক্যাম্পে ডাকা হবে। আলেয়া আক্তার কণা ও হাবিবা আক্তার জোনাকি শেরপুরের অনুপ্রেরণা ক্রিকেট একাডেমীর হয়ে খেলেন।
আলেয়া আক্তার কণা ও হাবিবা আক্তার জোনাকি জানান, ভবিষ্যতে মেয়েদের জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন নিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছি। শেরপুরের অনুপ্রেরণা ক্রিকেট একাডেমীর আরেক নারী ক্রিকেটার নিগার সুলতানা জ্যোতি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেট রক্ষক কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন।
আইএইচএস/পিআর