মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ‘প্রাণ’


প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

উপমহাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রাণ পণ্যের বড় বাজার এখন মালয়েশিয়ায়। দেশটির ৯ প্রদেশে কয়েকশ শপিং সেন্টার ও গ্রোসারি শপে প্রাণ’র পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই মালয়েশিয়ার অন্যতম ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করেছে প্রাণ।

কুয়ালালামপুরের বাঙালিপাড়া পুত্রায়াসহ বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কাছে প্রাণ’র পণ্য মানেই বাংলাদেশ। তারা প্রাণ’র পণ্যের মাঝেই খুঁজে পান মাতৃভূমি বাংলাদেশকে।

স্থানীয় মালয় ও ভারতীয় বংশদ্ভূত মালয়েশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কাছে প্রাণ একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড।

জানা গেছে, ২০১২ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় নিজস্ব কারখানা থেকে পণ্য উৎপাদন করছে প্রাণ। পণ্যের গুণগত মান ও স্বাদের বিষয়ে অধিক নজর দেয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় সকলের মন জয় করতে পেরেছে প্রাণ। এমনকি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন-জাপানসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের হাতে প্রাণের পণ্য দেখা যায়।

pran-malesia

মালয়েশিয়াস্থ প্রাণ’র হেড অব মার্কেটিং আহসান গনি জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশি, ভারতীয় ও নেপালিদের জন্য তাদের রুচি ও স্বাদের সমন্বয় করে বিশেষ পণ্য বাজারজাত করছে প্রাণ। গত দু’বছর ধরে মালয়শিয়ানদের জন্যও শুরু হয় তাদের পণ্য উৎপাদন। ফলে সবাই প্রাণ’র পণ্যে পাচ্ছেন দেশীয় স্বাদ।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ানদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা মোড়কে প্রাণ’র জুস উৎপাদন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জুসটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।   

আহসান গনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার বিখ্যাত মাইডিন, টেসকো, ইলিয়ন বিগ, কেকে, পাসারাঙ্গা হিরো, জায়া গ্রোসার, প্রেসতো গ্রোসার, সগো, সেজি ফ্রেশসহ সব চেইন শপ ও শপিং সেন্টারেই মিলছে প্রাণের পণ্য।
 
রোববার কুয়ালালমপুরের পুডো সেন্ট্রালের পাশে মাইডিনে ঘুরে দেখা গেলো, মালয়, ভারতীয়, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা প্রাণ’র পণ্য কিনছেন।
 
pran-malesia

কথা হয় বাংলাদেশি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রাণ’র সেমাই, চানাচুর, তেল বেশি কেনেন। প্রাণ’র পণ্যে যে স্বাদ পাওয়া যায় তা মালয়শিয়ান পণ্যে পাওয়া যায় না বলেও জানান তিনি।

মালয়েশিয়ান ট্যাক্সিচালক সাদ বিন সাইদ বলেন, প্রাণ খুবই ভালো এবং মজাদার পণ্য উৎপাদন করে। তাই আমার মতো বাকি মালয়েশিয়ানরা প্রাণ’র পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছে।

প্রাণ’র হেড অব মার্কেটিং আহসান গনি জানান, কুয়ালালামপুর ছাড়াও জহুর বারু, কোতা বারা, মালাক্কা, পেরাক, কেদাহ, পাহাং, টেরেনাংগু, সাবাহ স্টেটে প্রাণ’র পণ্য পাওয়া যায়।

আরএম/এসকেডি/এএইচ/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।