৪ কোটি টাকার সুইমিংপুলে যাবে না ডুব দেয়া
অডিও শুনুন
খাল-বিল, নদী-নালার দেশে ভালোমানের সাঁতারু বের করে আনার লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহর এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জেলায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে সুইমিংপুল। যে সব সাঁতারুরা শুধুমাত্র এসএ গেমস নয়, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে এশিয়ান গেমস, এমনকি অলিম্পিক গেমসেও।
শুধু সাঁতারু বের করে আনাই নয়, বিভিন্ন ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে খেলোয়াড়দের শরীরচর্চার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবেও খুব প্রয়োজন সাঁতার। সাধারণ মানুষের সাঁতার শেখাটাও জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয়।
সবকিছুকে সামনে রেখে সারা দেশে অন্তত ২৩টি সুইমিংপুল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর অধিকাংশ পুলই পড়ে রয়েছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। কোনো কোনো পুলে তো একদিনের জন্যও কেউ নামতে পারেনি। কোথাও পানি নেই, কোথাও পাম্প নষ্ট, কোথাও নোংরা পানি- নানা অব্যবস্থায় পড়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সুইমিংপুলগুলো।
অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত এসব সুইমিংপুল নিয়েই জাগোনিউজের ধারাবাহিক আয়োজন। প্রথমদিন থাকছে বরিশাল সুইমিংপুল...
* ২৬ বছরে বরিশাল সুইমিংপুল ব্যবহার হয়নি একদিনও।
* ১৯৯৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইমিংপুলটি নির্মাণ করা হয়।
* নির্মাণকাজ শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে সুইমিংপুলের কূপে (বেসিন) পানি তুলতে গেলে ফাটল ধরা পড়ে।
* বারবার সংস্কার করা গেলেও পুলে আর পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা যায়নি।
* শোনা যাচ্ছে, পুরনো পুল ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।
* স্থাপনাটির ভেতরের বিবর্ণ দেয়ালে ছোট-বড় একাধিক ফাটল। জমেছে শ্যাওলা।
বরিশাল নগরীর বান্দরোড স্টেডিয়ামের পাশে বড়সড় একটি সুইমিংপুল। তবে এখানে ডুবে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অবস্থা এমন যে, এই সুইমিংপুলে সাঁতার তো দূরের কথা, পানিরই দেখা মিলবে না।
বরিশালবাসীর জন্য অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার নাম সুইমিংপুল। এ অভিজ্ঞতা বরিশালবাসীর ২৬ বছরের। চার কোটি টাকার সুইমিংপুল, যা কখনোই চালু করা যায়নি। শুরু থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
বরিশালবাসীর স্বপ্নের এই সুইমিংপুলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালের ১ জুন। ২০০০ সালের ১১ এপ্রিল ঘটা করে সুইমিংপুলের উদ্বোধনও করা হয়। তবে উদ্বোধনের পর সুইমিংপুলটি কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করা যায়নি।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সুইমিংপুলের গেইট ছিল খোলা। স্থাপনাটির ভেতরের বিবর্ণ দেয়ালে ছোট-বড় একাধিক ফাটল। জমেছে শ্যাওলা। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার ফলে সিঁড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আগাছা জন্ম নিয়েছে। ধুলোবালি আর আবর্জনায় নোংরা হয়ে আছে পুরো সুইমিংপুল এলাকা। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে পাম্প হাউস। টয়লেট, দরজা-জানালার অবস্থাও খুব করুণ।
দেখে মনে হয়, বহুযুগের পরিত্যক্ত কোনো স্থাপনা। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে দেখা গেলো, সুইমিংপুলের অধিকাংশ টাইলসই নষ্ট হয়ে গেছে। পুলের একপাশে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে শেওলা জমেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সুইমিংপুলের ভেতরের পানির ফিটিংসসহ মূল্যবান অনেক যন্ত্রাংশ এরই মধ্যে চুরি হয়ে গেছে।
জরাজীর্ণ এ স্থপনা থেকে বের হয়ে আউটার স্টেডিয়ামে কথা হয় কয়েকজন ক্রীড়াবিদের সঙ্গে। তারা জাগোনিউজকে বলেন, ‘নির্মাণের সময় থেকে এখনও পর্যন্ত একদিনের জন্যও সুইমিংপুলটি ব্যবহার করা যায়নি। অথচ এটিই বরিশাল বিভাগের একমাত্র সুইমিংপুল।’
বারিশালবাসীর স্বপ্ন ছিল, সুইমিংপুল হওয়ায় এখান থেকে ভালোমানের সাঁতারু বেরিয়ে আসবেন। পাশাপাশি অন্য খেলোয়াড়রাও এর সুবিধা পাবে। কিশোর-কিশোরীরা এখানে সাঁতার শিখতে পারবে; কিন্তু সে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেলে।
উল্টো শোনা যাচ্ছে, সুইমিংপুলটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা বলছে, সুইমিংপুল মানসম্মতভাবে নির্মাণ না করায় এগুলো ভেঙে নতুন করে আবার তৈরি করা হবে। অর্থাৎ জনগনের ট্যাক্সের চার কোটি টাকা পুরোপুরি পানিতে গেল।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে বরিশাল স্টেডিয়ামের উত্তরপাশে সুইমিংপুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এন হক অ্যান্ড সন্স। নির্মাণকাজ শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে সুইমিংপুলের কূপে (বেসিন) পানি তুলতে গেলে ফাটল ধরা পড়ে।
ওই অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সুইমিংপুলটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে চায়। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ফাটল মেরামত ছাড়া সুইমিংপুল বুঝে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অথচ এরমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরো বিল তুলে নেয়। ওই অবস্থায় ২০০০ সালের ১১ এপ্রিল সুইমিংপুলটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সরকার পরিবর্তনের পর চারদলীয় জোট সরকার আমলে ওই সুইমিংপুল ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়; কিন্তু তা বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সুইমিংপুল ভাঙার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ফাটল মেরামত ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে ফাটল মেরামত ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করা হয়।
পরে সুইমিংপুলের কূপে (বেসিন) টাইলস বসিয়ে পানি রোধ করার জন্য আরও ৫২ লাখ ৮৯ হাজার টাকার কাজ করা হয়। দুটি পানির পাম্প স্থাপন করা হয়। যেনতেনভাবে ফাটল মেরামত ও সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়; কিন্তু কোনো কিছুতেই কূপের পানি আটকানো যায়নি। এরপর আর সংস্কারের উদ্যোগও নেয়া হয়নি।
সাবেক ক্রিকেটার ও কিউরেটর জহিরুল ইসলাম জাফর বলেন, ‘খোলোয়াড়দের ফিটনেসের জন্য যে বিষয়টি বেশি প্রয়োজন, তা হলো ব্যায়াম। সাঁতার হলো একমাত্র ব্যায়াম, যা সব বয়সীদের জন্য সহজ ও কার্যকর। এই ব্যায়ামে শরীরের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি নেই। সাঁতার হলো এমন একটি ব্যায়াম, যেখানে শরীরের সব মাংসপেশি কাজ করে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সুইমিংপুল নির্মাণ হলেও সেটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিৎ। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বরিশালের খেলোয়াড়দের বিচরণ ছিল। সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যত বাড়ানো হবে, তত প্রতিভাবান খোলোয়ার উঠে আসবে। পুরোনো গৌরব আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাবেক সদস্য সচিব ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘নির্মাণের বছর থেকেই বরিশাল অঞ্চলের একমাত্র সুইমিংপুলটি পরিত্যক্ত, ব্যবহারের অনুপযোগী। একদিনের জন্যও ব্যবহার করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদূর জানা গেছে, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণে এই পরিণতি। নির্মাণের সময় স্টিলের পাতের বক্স দিয়ে সুইমিংপুলের কূপে ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যবহৃত হয়েছে কাঠের বক্স। এতে ঢালাই ভালোভাবে বিন্যস্ত (কমপ্যাক্ট) না হওয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে কূপে পানি তুলতে গেলে তা ফেটে যায়। ফাটল মেরামতের পর কূপটির আধুনিকায়নের জন্য প্রতিস্থাপন করা হয় টাইলস। কিন্তু সেখানেও নিম্নমানের টাইলস ব্যবহার করা হয়। তাই ফাঁকফোকর দিয়ে পানি বেরিয়ে যায়।’
‘৪ লাখ ৩২ হাজার গ্যালন পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সুইমিংপুলে পানি ভরার জন্য বসানো হয় নিম্নমানের পাম্প। তা দিয়ে পানি ভরতে সময় লাগে ৯০ থেকে ১০০ ঘণ্টা। দ্রুতগতিতে পানি ভরার জন্য পরে স্থাপন করা হয় আরও একটি পাম্প। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দুটি পাম্পই নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে হয়েছে দুর্নীতি। লোপাট হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। রাষ্ট্রীয় টাকার এভাবে অপচয়, এর দায় কে নেবে? সুইমিংপুল থেকেও ২৬ বছর বরিশালের মানুষ বঞ্চিত হলো, এ জন্য শুধু ঠিকাদরই নয় শুধু সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়ী করবো। যারা এ ঘটনায় যুক্ত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু আরও বলেন, ‘বরিশালে শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণও সাঁতার না জানা। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের একমাত্র সুইমিংপুলটি পরিত্যক্ত থাকায় বিকল্প তেমন জায়গাও নেই। তার ওপর দিনদিন নগরীর পুকুরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই প্রয়োজনেই সুইমিংপুলটি নতুন করে হোক বা সংস্কার করে দ্রুত চালু করা দরকার।’
জানা গেছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে এই প্রকল্পে। এরমধ্যে সুইমিংপুল সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।
তবে বরিশাল ক্রীড়া সংস্থা থেকে সুইমিংপুল সংস্কার নয়, নতুন করে নির্মাণের দাবি করা হয়েছে। বর্তমান সুইমিংপুলটির দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার ও প্রস্থে সাড়ে ২২ মিটার। মাঝখানে গভীরতা ২ দশমিক ১ মিটার। দেড় কোটি টাকা বরাদ্দে এ আয়তনের সুইমিংপুল নতুনভাবে নির্মাণ সম্ভব নয়। তবে বরিশাল ক্রীড়া সংস্থা মন্ত্রণালয় থেকে নতুনভাবে নির্মাণের জন্য ব্যয়ের অর্থ বরাদ্দ করাতে পারলে, সে ক্ষেত্রে জটিলতা আর থাকবে না।
বরিশাল ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, ২৬ বছর আগে সুইমিংপুলটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর আমি বরিশালে যোগদান করেছি গত বছর। তখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম নির্মাণ ত্রুটির কারণে সুইমিংপুলে পানি ধরে রাখা যায় না। সেটা ব্যবহারের উপযোগীও নয়। তখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যোগাযোগ করি।
পরের মাসে মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্ম সচিব ও একজন উপসচিব বরিশালে এসে সুইমিংপুল এবং স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। তাদের কাছে আমরা সুইমিংপুল ও স্টেডিয়াম সংস্কারের বিষয়টি উপস্থাপন করি। সুখবর হলো বরিশাল স্টেডিয়াম পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পরিণত করতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে একটি দল বরিশালে এসে সুইমিংপুলটি দেখে গেছে। আমরা সংস্কার চাইনি। কারণ তাতে টেকসই বা কার্যকর হতো না। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ক্রীড়া পরিষদে সুইমিংপুলটি ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের সম্মতিও পাওয়া গেছে।
জসীম উদ্দীন হায়দার আরও বলেন, ‘একটি মাঠ, একটি ভালো ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান, একটি ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরিতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। সুতরাং বরিশালবাসীর জন্য সুইমিংপুল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সুইমিংপুল চালু হলে পর্যাপ্ত সাঁতারু তৈরি হবে। কিশোর-কিশোরীরা সাঁতার শিখতে পারবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘২৬ বছর ধরে একটি সুইমিংপুল থেকেও ব্যবহার করা যায়নি। এটা মানা যায় না। আমি বিশ্বাস করি, সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। যারা এ অন্যায় কাজটি করেছে, অবশ্যই তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
সাইফ আমীন/আইএইচএস/